ভারতে করোনাভাইরাসের দাপট এখনো একচুলও কমেনি। এই মহামারীতে এখনো সমানে মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। আক্রান্ত হচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। এর সাথে দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে কালো ছত্রাক (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) বা মিউকোরমাইকোসিস। প্রাণঘাতী এই ছত্রাক সামলাতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের।
 
 
এসবের মধ্যেই এবার দেশটির আন্দামানে সন্ধান পাওয়া নতুন এক ছত্রাককে ঘিরে নতুন আশঙ্কা, যা আসলে একটি ‘সুপারবাগ’।
 
#
ক্যান্ডিডা অরিস নামের ওই ছত্রাক এতটাই বিপজ্জনক যে গবেষকদের আশঙ্কা এ ছত্রাকটি মানুষের শরীরে সংক্রমণ ছড়ানো শুরু করলে মৃত্যু হতে পারে লাখ লাখ মানুষের। আর এটির ভয়াবহতা আরো বেশি। কারণ এই মুহূর্তে বাজারে পাওয়া যাওয়া প্রায় সব ওষুধেরই মোকাবিলা করতে পারে জীবাণুটি।
 
 
২০০৯ সালে জাপানে প্রথম এই ক্যান্ডিডা অরিসের অস্তিত্বের সন্ধান মেলে। পরবর্তীকালে ব্রিটেনসহ মোট ৪০টি দেশের সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলে বিশেষজ্ঞরা এই ছত্রাকের সন্ধান পেয়েছেন। তবে ভারতে এই ছত্রাকের সন্ধান মিলেছে খুব সম্প্রতি।
 
 
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মোট আটটি এলাকা থেকে ৪৮টি নমুনা সংগ্রহ করে এর খোঁজ মিলেছে। সাগরপাড়ের পাথুরে এলাকায়, লবণাক্ত জলাভূমিতে এই প্রাণঘাতী ছত্রাকের আধিক্যে দেখা যায়। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষকদল এই ছত্রাকের সন্ধান পান। তাদের দাবি, যদি কোনোভাবে ভয়াবহ এই ছত্রাক মানুষের মধ্যে সংক্রমণ শুরু করে, তাহলে বছরে ১ কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণ যেতে পারে।
 
কিন্তু কেন এত বিপজ্জনক এই ক্যান্ডিডা অরিস? গবেষকদের দাবি, এই ধরনের সুপারবাগগুলো তৈরি হয় হাসপাতালের পরিবেশে। এই ক্যান্ডিডা অরিস বাজার পাওয়া যাওয়া প্রায় সব ওষুধ প্রতিরোধী। তাই এর সংক্রমণ ঠেকানো এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে প্রায় অসম্ভব!
 
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানাচ্ছেন, এটি আসলে এক ধরনের ছত্রাক। যা হাসপাতালের বাইরে দেখাই যেত না। এই প্রথম এটি হাসপাতালের পরিবেশের বাইরে পাওয়া গেল, যা আগামী দিনে ভয়ংকর বিপদের ইঙ্গিত হতে পারে।