ঠাকুরগাঁওয়ের ভূমিহীন গিরিলাল মাথা গোঁজার ঠাঁই চায়
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের অসহায় ভূমিহীন গিরিলাল বর্মন সরকারের কাছে মাথা গোঁজার ঠাঁই চায়। পরের জমিতে বসবাস করা এ পরিবারটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে এমন প্রার্থনা করেছেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গিরিলাল বর্মন (৪৫) পিতাঃ মৃত, রমনী বর্মন, ভোটার আইডি নং- ৫৯৯৭৮৭৪২০০, গ্রামঃ লস্করা ডাকঘর: গড়েয়া, থানা ও জেলা: ঠাকুরগাঁও। নিজস্ব ভিটে মাটি না থাকায় সে প্রায় ২০ বছর ধরে ওই গ্রমের আত্মীয় উমেশ বর্মনের জমিতে বসবাস করিয়া আসিতেছেন। বর্তমানে উমেশ বর্মনের পরিবারের জায়গা জমি বণ্টন হওয়ায় তাকে ঘর ও বাড়ির জায়গা ছেড়ে দিতে বলেছেন।
গিরিলাল বর্মন জানান, আমি প্রায় ২০ বছর যাবত মানুষের জায়গায় বসবাস করছি। আমার পরিবারের লোক সংখ্যা পাঁচ জন এবং আমি এক মাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি, সারাদিন মানুষের কামলা দিয়ে দিন প্রতি দুইশত থেকে দুইশত পঞ্চাশ টাকা উপার্জন করি,যা দিয়ে আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে কোন রকমে জীবন যাপন করি। ঋণ করে দুইটি মেয়ের বিয়ে দিয়েছি, ছোট মেয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ে, আমার এই সামান্য উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোন ক্রমেই এক খন্ড জমি বা থাকার ঘর করা সম্ভব না।
আমি লোক মারফত জানিতে পারি, বর্তমান সরকারের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীনদের মাঝে সরকারি জায়গায় জমি ও ঘর নির্মান করে দিচ্ছেন। আমি একজন অসহায় গরীব ও ভূমিহীন তাই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে সরকারের কাছে মাথা গুজার ঠাই চাই। না হলে রাস্তার ধারে কিংবা ফুটপাতে থাকা ছাড়া উপায় থাকবে না। শুনেছি সদর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী অফিসার একজন মানবিক তাই আপনাদের মাধ্যমে উনার সুদৃস্টি কামনা করছি।
এ বিষয়ে গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ রেদো জানান, গিরিলাল বর্মন একজন ভূমিহীন সে অন্যের জমিতে বসবাস করে। ইতিপূর্বে আমি তার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ভূমি ও ঘর বরাদ্দের জন্য লিখিত সুপারিশ করেছি। আমি আশা করি এ পরিবারটি সরকারের বরাদ্দকৃত ঘড় পাওয়ার যোগ্য। আর প্রশাসন নিশ্চই তা বিবেচনা করবেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।