সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (০২ জুন) ভোরে নবজাতকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নবজাতকের মাকে পুলিশ আটক করলেও বাবা পলাতক রয়েছেন।
আটক শ্যামলী ঘোষ খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের মানিক ঘোষের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, ২৫ মে রাতে মানিক ঘোষ ও শ্যামলী দম্পতির একটি মেয়েসন্তান ভূমিষ্ট হয়। তাদের আগে তিনটি মেয়েসন্তান রয়েছে। মেয়ের জন্মের পর স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। মঙ্গলবার (০১ জুন) সকাল থেকে নবজাতকটি নিখোঁজ ছিল। পরে গ্রামবাসীসহ পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে রাতে বাড়ির পাশে পুকুরে নবজাতকটির মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খলিলনগর ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা আজমীর হোসেন জানান, ছেলেসন্তানের আশায় বাচ্চা নিয়ে মেয়ে হয়েছে। সে কারণে রাগ করে নবজাতকটিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান লিটু জানান, ঘটনাস্থলে চৌকিদারকে পাঠানো হয়েছিল। চৌকিদার ফিরে এসে জানিয়েছেন, শ্যামলী ঘোষের স্বামী মানিক ঘোষ বলেছেন, ‘তিন মেয়ের পর আবার মেয়ে হয়েছে।
এ মেয়েকে মেরে না ফেললে তোকে আমি বাড়িতে রাখব না। সে স্বামীর কথামতো নবজাতকটিকে মেরে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে রাতে পুলিশ নবজাতকটির মরদেহ উদ্ধার করে।’
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।