ঐশীর বয়স মাত্র তিন বছর। এই বয়সে যার হৃদয় জুড়ে নিষ্পাপ ভালোবাসা, আনন্দ আর উচ্ছ্বাস থাকার কথা, সেই শিশুটির হৃদপিণ্ডে বাসা বেঁধেছে কঠিন রোগ।
চারটা ছিদ্র তার হৃদপিণ্ডে
শিশুটির বাবা মিহির দাস অন্যের সেলুনে চুল কাটার কাজ করেন। সামান্য আয়ে তার সংসার চলে। অভাব থাকলেও সুখেই কাটছিল তাদের দিন। কিন্তু হঠাৎ করে ঐশীর অসুস্থতার কারণে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে। কুমিল্লার মনোহরপুর উপজেলা সদরের হাটিরপাড় গ্রামে তার বাড়ি।
সন্তানের চিকিৎসার জন্য ধার করে, সাহায্য তুলে, ঘরের শেষ আসবাব বিক্রি করেও ১ লাখ টাকার বেশি জোগাড় করতে পারেননি ঐশীর দরিদ্র বাবা।
চিকিৎসা চলছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। ডাক্তার জানিয়েছেন, শিশুটির ওপেন হার্ট সার্জারি করতে হবে। তবেই একদম সুস্থ হয়ে উঠবে ঐশী।
মিহির দাস বলেন, পরের দোকানে সামান্য বেতনে চুল কাটার কাজ করি। এর মধ্যেই ধারদেনা হয়ে গেছে। এক লাখের কিছু কম টাকা হাতে আছে। আরও প্রায় চার লাখ টাকা লাগবে। কোথায় পাব? আমি গরিব মানুষ। আমার মেয়েটাকে বাঁচাতে আপনারা একটু এগিয়ে আসেন।
আমরাই পারি শিশুটিকে সুস্থ হতে তার চিকিৎসায় সাহায্য করতে। সবার দোয়া ও সহযোগিতায় ছোট্ট ঐশী আবার ছুটে বেড়াবে এটাই প্রত্যাশা।
মিহির দাসের ফোন নাম্বার ০১৮২৩৭৮২৮৬০ (বিকাশ)
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।