• ভবদহের বিকল্প হতে পারে আমডাঙ্গা খাল : সরকারীভাবে সংস্কারের দাবি
  • জেমস আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের দু:খ ভবদহ। এই ভবদহরে দু:খ লাঘোভে একাট্টা পানিবন্দি মানুষ। যে কারণে অভয়নগরের আমডাঙ্গা খালে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করতে খালের তলদেশের সকল ধরনের আবর্জনা ও ব্লক অপসারন করতে স্বেচ্ছায় শ্রম দিচ্ছে জলাবদ্ধ এলাকার হাজার হাজার পানিবন্দি মানুষ।

এসব এলাকার মানুষের দাবি, বিএডিসি কর্তৃক আমডাঙ্গা খাল খনন করে হারিয়ে গেছে তারা। দীর্ঘদিন যাবৎ পানিবন্দি মানুষেরা এত আন্দোলন সংগ্রাম করলেও যেন তাদের কানে পৌছায়নি সাধারণ মানুষের এই আর্তনাদ।

সরকারের এ দফতরের যেন কিছুই করার নেই এসব পানিবন্দি মানুষের জন্য। উপায় না দেখে পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষ নিজেদের স্বেচ্ছাশ্রমে গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় আমডাঙ্গা খাল, যা আমিন খাল নামেও পরিচিত সেই খালের তলদেশ থেকে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে নেমে পড়ে। এছাড়াও খালের দুপাড়ে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবার খালটিকে আষ্টেপিষ্টে রেখেছে।

তাদের রাহু গ্রাস থেকে উদ্ধার করে পানির স্রোতের গতি বৃদ্ধি করতে ঘরে বসে না থেকে পানিবন্দি এলাকা তথা ধোপাদী, সরখোলা গ্রামসহ চলিশিয়া, সুন্দলী, কুলটিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হয় এই খালে। তবে কাজের গতি বৃদ্ধি না করায় ও আগত মানুষেরা সঠিকভাবে পানিতে না নামায় খালের মূল কাজ বাকি রয়েছে বলে জানায় আয়োজকরা।

খালের ব্লক অপসারণ ও ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে পানির স্রোত বৃদ্ধি করলেও মূল অংশের কাজ করতে পারেনি তারা। ফলেও আবারও আগামী বৃহস্পতিবার পুনরায় প্রস্তুতি নিয়ে সকাল ৮টায় খালে আসার ডাক দিয়েছেন আয়োজকরা।

তবে পানিবন্দি মানুষের দাবি, ব্যক্তি উদ্যোগে আর স্বেচ্ছাশ্রমে যে কাজ করা হয়েছে তাতে স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু মূল কাজ করতে হলে সরকারের সহযোগীতার বিকপ্ল নেই। ফলে ভবদহের বিকল্প হিসেবে আমডাঙ্গা খাল ভূমিকা রাখবে বলেও দাবি করেন তারা। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, ভবদহের পানিবন্দি যে সব বিলগুলি রয়েছে সেই সব বিলের মধ্যে অন্যতম ঝিকরার বিল।

ঝিকরার বিলের মাঝ বরাবর একটি খাল রয়েছে সেই খাল থেকে আড় খাল কেটে এনে পাশের ভৈরব নদীর সাথে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে। ভৈরব নদীর পানি বিল ঝিকরার পানির চেয়ে ৭/৮ ফুট নীচু রয়েছে। ফলে ওই সব বিলের পানি আমডাঙ্গা খাল দিয়ে ভৈরব নদীতে এসে পড়ছে।

এতে করে সঠিকভাবে খালটি প্রতি বছর সংস্কার করা হলে অথবা নাব্যতা ঠিক রাখতে আরসিসি ঢালাই দিয়ে ইউ ড্রেন করতে পারলে ভবদহের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হবে আমডাঙ্গা খাল। ফলে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পাবে জলাবদ্ধ এলাকার বৃহত জনগোষ্টী। অবসান হবে প্রায় শত বছরের দু:খ।