মো. ইসহাক, ঈশ্বরগঞ্জ(ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের ভরসার স্থান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন। মো. জাকির হোসেন গোটা এলাকায় সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে এখন অনুসরণীয় মানবিক কর্মকর্তা।
দক্ষতা ও খ্যাতির সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সুযোগ পেলেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্য করেন না তিনি। সামাজিক যোগাযোগ বা গণ মাধ্যমে কোনো অসহায় মানুষের খবর আসলে ছুটে গিয়েছেন তাদের বাড়ি বা ডেকে এনেছেন তার কার্যালয়ে।
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় যোগদানের পর থেকেই তিনি সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করে চলেছেন। জনমানুষের স্বার্থের জন্য লড়ে যাচ্ছেন যাবতীয় অন্যায়-অবিচারের অন্যপক্ষে। করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ঘরে স্ত্রী, সন্তান রেখে মাঠপর্যায়ে কর্মহীন, অসহায়-হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকছেন সর্বক্ষণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জের ইউএনও হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ইং যোগদান করেন মো. জাকির হোসেন। আর দায়িত্ব নিয়েই তিনি উপজেলার মানুষের প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দেন। বাল্যবিয়ে ও যৌতুকপ্রথা বন্ধ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সরকারি জমি উদ্ধার, চাঁদাবাজি বন্ধ এবং মাদক নির্মূলে একের পর এক অভিযান চালিয়েছেন। এছাড়া দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ভিক্ষাবৃত্তির নির্মূলে প্রতিটি ইউনিয়নে করেছেন সামাজিক সমস্যা বিরোধী সমাবেশ।
আর জনহিতকর এসব কর্মকাণ্ড চালিয়ে তিনি এলাকার মানুষের অতি সন্নিধানে চলে গেছেন। স্থানীয় প্রশাসন সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন তার কার্যালয়ের নিজ কক্ষে সেবাপ্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত চেয়ার রাখেন। এটি উনি তার আগের স্টেশন কলমাকান্দা উপজেলায় চালু করেছিলেন যা এখানে কার্যকর করেন। মানবিক এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলাজুড়ে নানা শুশ্রূষাধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রাকৃতিক দূর্যোগে দৌড়ে গেছেন ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে শুনেছেন তাদের দূর্দশার কথা।
যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখতে চালিয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড। তরুণ-তরুণীদের শুনিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কণ্ঠে মুক্তিযুদ্ধের গল্প। সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন চলমান করোনা দুর্যোগ নিষ্পত্তিতে নানা উদ্যোগ নিয়ে চলেছেন। সহায়তার হাত নিয়ে কর্মহীন, হতদরিদ্র-অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এরই মধ্যে লক্ষাধিক মানুষের হাতে ত্রাণসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন উপজেলায় বিভিন্ন অন্যায়-অবিচারের বিপক্ষেও রুখে দাঁড়িয়েছেন।
প্রভাবশালীদের রাঙা চোখ উপেক্ষা করে তিনি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ফুটপাতে দোকানপাট উচ্ছেদ করেছেন। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে পরিবহন সেক্টরের চাঁদাবাজি কঠোর হাতে বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
করোনা মহামারীর সময় ব্যবসায়ীরা যাতে পণ্যের দাম বেশি নিতে না পারেন সে জন্য তিনি উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখেন। করোনার বিস্তার রোধে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার লকডাউন সফল করতে প্রতিদিন মাঠে থেকেছেন।
লাশ দাফন, করোনা আক্রান্ত চিকিৎসার পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার দিকেও দৃষ্টি রাখছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে আমি আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করছি মাত্র। সরকারি সেবাপ্রদানে সর্বদা সচেষ্ট থাকি এবং যেকোনো সমস্যাকে সেবাগ্রহীতার দৃষ্টিতে দেখি ফলে সমাধানও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনুকূলে থাকে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।