ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের (স্থগিত) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারহানা আলম, বোন শাহানা হানিফ ও মা ফাতেমা হানিফের ব্যাংক হিসাবও স্থগিতের নির্দেশ দেন আদালত।
দুদকের কৌঁসুলি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রবিবার সাঈদ খোকনের তিনটি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব, তাঁর স্ত্রী ফারহানা আলমের দুটি, বোন শাহানা হানিফের দুটি এবং তাঁর মা ফাতেমা হানিফের একটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক জালাল উদ্দিন আহমেদ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের মোট আটটি ব্যাংক হিসাব স্থগিতের আদেশ দেন। আবেদনে বলা হয়, ওই ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে। অভিযোগটি সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ব্যাংক হিসাবগুলো থেকে যেন অর্থ উত্তোলন, স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা না যায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যাংক হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে স্থগিত করা প্রয়োজন। আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা ওই ব্যাংক হিসাবের অর্থ স্থানান্তর করতে চেষ্টা করেছেন, যা তদন্তে উঠে এসেছে। অভিযোগ নিষ্পত্তি পর্যন্ত ওই অস্থাবর সম্পত্তি স্থানান্তর বা হস্তান্তর হয়ে গেলে রাষ্ট্রের ব্যাপক ক্ষতির কারণ হবে।
এদিকে রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেটের মূলভবনে নকশাবহির্ভূতভাবে এবং অবৈধ উপায়ে দোকান বরাদ্দের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে গত ২৯ ডিসেম্বর সাঈদ খোকনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু মামলা করেন। এরপর আদালত মামলার অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার, সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী মাজেদ, কামরুল হাসান, হেলেনা আক্তার, আতিকুর রহমান স্বপন ও ওয়ালিদ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।