লোহাগড়ায় কচুবাড়িয়া গ্রামে গাছ কাটা কে কেন্দ্র করে গর্ভবতী মহিলাকে নির্যাতন

ষ্টাফ রিপোর্টার মনির খানঃ লোহাগড়া নড়াইল।

  • লোহাগড়ার কচূবাড়িয়া গ্রামের মন্টু কর্ম কারের ছেলে ভক্ত কর্মকার গনমাধ্যম কর্মীদের জানান যে আমার বাবা ৬০ বছর পূর্বে থেকে নিম্নের ভোগ দখল কৃত জমি পূর্বের জমিদারদের কাছ থেকে বন্দ বস্ত নিয়ে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছে ।
  • তফসিল জমির বিবরন: নড়াইলের লোহাগড়ার অন্তরগত ৯৬ নং কচুবাড়িয়া মৌজার আর এস খতিয়ান নং ৩৫৯ আর এস দাগ নং ৫৫০’৫৫২’৫৫৩’৫৫৫’৫৬২ মোট জমির পরিমান ১.৬৯০০ এর উপর আমাদের লাগানো আম গাছ। ভক্ত কর্মকার বলেন যে আমার চাচা নিমাই কর্মকারের স্ত্রী বার্ধক্য জনিত কারণে মারা যায়। তাহার সতকার করার জন্য আমরা সকলে ই মিলে তফসীল দখলীয় সম্পত্তির উপর আমাদের লাগানো আম গাছ কাটিয়া জ্বালানী তৈরি করি। আমাদের জমি জমা জোর দখল করার উদ্দেশ্যে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্র করিয়া আসিতেছে। গত ২১ নভেম্বর ২০২০ তারিখ সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় গাছ কাটার খবর পেয়ে জনাব নায়েব হায়দার আলী (ভূমি অফিস লক্ষী পাশা) থেকে আমার বসত বাড়ির উপর দাঁড়িয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তখন ভক্ত কর্মকারের স্ত্রী রেখা কর্মকার জনাব হায়দার আলী কে গালিগালাজ না করার জন্য বলে।
  • ইতিমধ্যে ভক্ত কর্মকারের ভাই উপস্থিত হন এবং জনাব নায়েব হায়দার আলীর সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে অনেক মানুষ উপস্থিত হয়। ভক্ত কর্মকার বলেন যে ঐ সময় কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে১/ নায়েব হায়দার আলী চর থাপ্পড় মারে ও পাকার উপর ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং পরনের কাপড় চোপড় টানা হেচড়া করিয়া শীলতাহানী করে, জনাব হায়দার আলীর সাথে ছিল ২/ ইমান মোল্লার ছেলে হারুন মোল্লা,৩/ মোসলেম জমারদারের ছেলে লিয়াকত জমারদার,৪/পদা জমারদার ৫/শন্ত সমারদারের ছেলে দিলিপ সমারদার সহ আরো অনেকে পরিকল্পিত ভাবে এই অঘটন টি ঘটায়।
  • আমার স্ত্রী চিৎকার দিলে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে সকলে এলাকা ত্যাগ করে চলে যায়। উল্লেখ্য বিষয় রেখা কর্মকার ৯ মাষের গর্ভবতী মহিলা জনাব নায়েব হায়দার আলীর ধাক্কায় তল পেটে আঘাত জনিত কারণে পাকার উপর পড়ে রক্ত খরন হয়েছে বলে জানা যায়।
  • এবং রেখা কর্মকার লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে বলে যানা যায়। রেখা কর্মকারের চিকিৎসক বলেন তার পেটের বাচ্চা বেঁচে আছে কিনা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে?তবে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
  • এই ব্যাপারে কোর্টে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।