মোঃ রাশিদুল ইসলাম,মাগুরা প্রতিনিধিঃ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় এবার আগাম বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। যার ফলেই ক্রমে পাট চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।এদিকে ভালো ফলনে দাম নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন স্হানীয় কৃষকরা।
আষাঢ় মাসে বৃষ্টি বেশি হওয়ায় উপজেলার খাল- বিলে ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে পাট ক্ষেত থেকে কাটা শুরু করা হয়েছে। অনেকে আবার পাট পরিপত্র করায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু দাম নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন কৃষকরা।সরকারী ও বেসরকারী পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সঠিক দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় ক্ষেত থেকে কৃষকরা পাট কাটছেন।কোথাও মাঠ থেকে কাটা পাঠ অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন। কোথাও চলছে পাট পচানো প্রস্তুতি।আবার পচানো পাট থেকে আঁশ ছড়ানোর কাজ চলছে। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও চাষিরা পাট চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন।তাই অনেকে বাধ্য হয়ে অন্য ফসলে ঝুঁকি নিয়েছেন।মাঝে স্বল্প পরিসরে যারা আবাদ ধরে রেখেছিলেন, তারাই লাভবান হয়েছেন। তাদের দেখেই অন্যরা পাট চাষে ফিরছেন।
উপজেলার ২ নং আমলসার ইউনিয়নের বিলনাথুর গ্রামের পাট চাষী মালেক মন্ডল এবার চার বিঘা জমিতে পাট চাষ করছেন। তিনি বলেন, গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমে শুরুতেই চাষিরা পাট চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।এতে পাটের আবাদ বেড়েছে অনূকূল আবহাওয়ায় ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এ বছর পাটের দাম কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। প্রতি বছরের তুলনায় এবার পাট চাষে খরচও বেশি হয়েছে।
লাঙ্গলবাঁধ বাজারের পাইকারী পাট ব্যবসায়ী রাশেদ খান বলেন, মাঠে এখন পাট কাটা প্রায় শেষ দিকে। এখন কৃষকরা পাট পচানো ও আঁশ ছোড়ানো কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।বাজারে পাট আসতে শুরু করছে।পাটের ফলন এবার ভালো হয়েছে কিন্তু দাম কম থাকায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে কৃষকরা বলে আমি মনে করি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।