টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় আবারও যমুনার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভাঙনে উপজেলার গোহালিয়াবাড়ী ইউনিয়নের আলীপুর এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হাট বিলীন হয়ে যায়। হুমকির মুখে রয়েছে শত শত ঘরবাড়ি ও বসতভিটা। ৮নং ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, সোমবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩নং বেলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি ঘর, মাদ্রাসার তিনটি ঘর, মসজিদ ও হাটের জায়গা বিলীন হয়ে যায়।
এসব প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু কয়েকটা ব্রেঞ্চ বের করা সম্ভব হয়েছে। বাকি সব যমুনায় চলে গেছে। এ ছাড়া আশপাশের শত শত বাড়িঘর ও বসতভিটা হুমকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মোতালেব হোসেন বলেন, চোখের সামনে মুহূর্তের মধ্যে সব বিলীয় হয়ে যায়, মাদ্রাসা ও মসজিদের সব আসবাবপত্র সরানোর মতো সময় পাইনি। ভাঙন রোধে এ এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি জানাই। এলাকার রমজান আলী বলেন, এ পর্যন্ত তিনবার ঘরবাড়ি সরাইছি।
তার পরও হুমকির মুখে রয়েছি। কখন বুঝি আবার বর্তমান বাড়িটি যমুনা গিলে খায়। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা তানজিন অন্তরা জানান, উপজেলা প্রশাসনের ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি জানান, ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পুনর্নির্মাণের জন্য ব্যবস্থার করা জন্য ইউএনওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে টিন ও নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।