বস্তিবাসীদের মধ্যে কেউ গ্রামে ফিরতে চাইলে তাদের জমিসহ ঘর তৈরী করে দেয়া হবে। সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশে যেনো বস্তিবাসীরাও থাকতে পারেন সেজন্য বস্তিবাসীদের ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মিত বস্তিবাসীদের জন্য ৩০০ ফ্ল্যাটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তরকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে ১০ বছর আগেই মানুষ উন্নত জীবন পেতো।
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে কোনো কাজ করতে গেলে সরকারী কর্মচারীদের প্রয়োজন। তারা কাজ করবে, তাদের ভালো মন্দ সরকারকে দেখতে হবে। বলেন, সব সরকারী কর্মচারীদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বস্তিতে বাস করা কেউ ঘরে ফিরতে চাইলে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে জমিসহ ঘর দেব। ছয় মাস যেন তারা চলতে পারে সে ব্যবস্থাও করা হবে। এছাড়াও, ঘরে ফেরা কর্মসূচি আবারও শুরু হবে’।
মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনে বস্তিবাসীদের জন্য সর্বমোট ১০ হাজার ফ্ল্যাটে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ১৪৮ কোটি টাকা। মঙ্গলবার ৩০০ পরিবারের হাতে বরাদ্দপত্র দেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেওয়া হবে আরও ১০০১টি পরিবারকে। ওই বস্তিতে থাকা ১০ হাজার পরিবার নতুন ফ্ল্যাটে থাকার সুযোগ পাবেন। এই বস্তির পরিবারগুলো আগে ফ্ল্যাটে বসবাস করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
২০১৭ সালে এই পরিকল্পনা গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, সরকারি উদ্যোগে বস্তিবাসীদের জন্য নির্মিত এসব ফ্ল্যাটে আধুনিক সব সুবিধা রাখা হয়েছে। তবে ফ্রি নয়, মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়ায় এখানে থাকবেন নগর জীবনের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত বস্তিবাসীরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।