দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৫ দিনে একজন গর্ভবতী নারীসহ ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ডাকতের হাতে, করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং হৃদরোগ ও ক্যান্সারে এসব বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
জুলাই মাসের ১৮ তারিখ থেকে আগস্টের ১ তারিখ পর্যন্ত ২৬ বাংলাদেশির মধ্যে ২০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে, ২ জন ক্যান্সারে, ১ জন হৃদরোগে এবং ৩ জন বিভিন্নভাবে খুন হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী গত জুলাই মাসের ১৮ তারিখ দেশটির ইস্টার্ন কেপ প্রদেশে ইসলাম হোসেন নামে নোয়াখালী জেলার বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
একই দিন নোয়াখালী জেলার মাইজদীর বাসিন্দা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ফ্রি স্টেইট প্রদেশের ব্লুমফন্টেইনের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই দিন সাইদুজ্জামান ও হাফেজ মুহাম্মদ সুমন নামে দুই বাংলাদেশি নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়ে জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন।
১৯ জুলাই চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হুমায়ুন কবির করোনা আক্রান্ত হয়ে জোহানেসবার্গের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুহাম্মদ মাসুদ করোনা আক্রান্ত হয়ে নর্থওয়েস্ট প্রদেশের ব্রেস্টে মৃত্যুবরণ করেছেন। অপরদিকে মাওলানা কামরুজ্জামান নামের একজন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী দেশে এসে মৃত্যুবরণ করেছেন।
তিনি টাঙ্গাইলের বাসিন্দা। একই দিন রফিকুল ইসলাম নামে নর্থওয়েস্টের রাস্টের্নবার্গে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা। একই দিন নাসির উদ্দিন নামে আরো একজন বাংলাদেশি নর্থওয়েস্টের ব্রেস্টে করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাসিন্দা।
২০ জুলাই হাফেজ রাফিউল ইসলাম নামে একজন বাংলাদেশি নিজ ব্যবসায়িক পার্টনার অপর একজন বাংলাদেশির হাতে খুন হয়েছেন। তিনি মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বাসিন্দা। একই দিন শহিদুল ইসলাম নামে একজন বাংলাদেশি কোয়াজুলু নাটাল প্রদেশে অপহৃত হওয়ার পর খুন হয়। তিনি ঢাকা জেলার বাসিন্দা।
২২ জুলাই কামাল পাশা নামে একজন দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ফেনীর বাসিন্দা। একই দিন মাওলানা মিজানুর রহমান দেশটির লিম্পুপু প্রদেশের একটি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। একই দিন উপরেশ চন্দ্র শর্মা নামে আরেক বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে পুমালাঙ্গা প্রদেশের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। একই দিন ইস্ট লন্ডনে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি পাবনা জেলার বাসিন্দা।
২৪ জুলাই পুমা লাঙ্গা প্রদেশের আমাসপোর্টে বোরহান উদ্দিন মানিক নামের একজন বাংলাদেশি ডাকাতের হাতে খুন হয়েছে। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বাসিন্দা। একই দিন জিয়াউর রহমান নামে একজন বাংলাদেশি নর্থওয়েস্টে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি সিলেটের গোলাপগঞ্জের বাসিন্দা।
২৫ জুলাই প্রিটোরিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ওয়াহিদ হোসেন নামে একজন বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। ২৬ জুলাই কেপটাউনে করোনা আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালী জেলার মাইঝদীর বাসিন্দা মেহেদী হাসান শিপলু মৃত্যুবরণ করেছেন।
২৭ জুলাই জোহানেসবার্গের জারমিস্টনে বাবুল সওদাগর নামে আরও একজন বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি মাদারীপুর শিবচরের বাসিন্দা। ২৯ জুলাই প্রিটোরিয়ায় স্বপন জমাদ্দার নামে একজন বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের বাসিন্দা। ৩১ জুলাই পুমা লাঙ্গা প্রদেশের পিটারট্রিপ এলাকায় ইতি আক্তার নামে একজন গর্ভবতী নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি দিনাজপুরের বাসিন্দা।
সর্বশেষ ১ আগস্ট কেপটাউনে মুরাদ সিকদার নামে একজন বাংলাদেশি করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার চন্দ্রপুরের বাসিন্দা। একই দিন জোহানেসবার্গে মুহাম্মদ মহসিন নামে আরও একজন বাংলাদেশি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসাপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা।
এছাড়া আরও দুইশ বাংলাদেশি নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।