ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের ধর্ষক ইব্রাহীম খাঁনের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে শহীদ ডাঃ মনির উদ্দিনের চৌধুরী পরিবার। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে লিখিতভাবে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ তুলে ধরেন।   

সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের পক্ষে সামসউদ্দিন চৌধুরী লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ইব্রাহীম খাঁন একজন রাজাকার। সে ১৯৭১ সালে বোন সুফিয়া বেগমকে গণধর্ষন করে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এছাড়া টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত হয়ে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় প্রভাব বিস্তার করেন। এসময় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মোটা অংঙ্কের টাকা হাতিয়ে অনেক কে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তভুক্ত করেন। তার এসব অপকর্মের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় তার বেতন ভাতা বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে দ্রত বিচার আইনে মামলা চলমান রয়েছে।

অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয় যাচাই বাছাই করে ডাঃ মনিরউদ্দিন চৌধুরিকে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও তার কন্যা সুফিয়া বেগমকে বীরঙ্গনা স্বীকৃতি দিলে রাষ্ট্রের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করতে গত ৩১ শে জুলাই পীরগঞ্জে একটি অনুষ্ঠানে মানহানিকর বক্তব্য দেন। এর পর ইব্রাহীম বাহিনী শহীদ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। তার বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে শহীদ পরিবারের সদস্য রোকেয়া বেগম, মসলিম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা জিতেন্দ্র নাথ, ইসলাম উদ্দিন, কফিল উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলার বাদি শহীদ ডাঃ মনিরউদ্দিন চৌধুরি বড় মেয়ে রকেয়া বেগম জানান ইব্রাহিম বাহিনীর নির্যাতনে আমি আজ পঙ্গু। শেষ বয়সে তার বিচার দেখে যেতে না পারলে আত্মা শান্তি পাবে না। এখন পর্যন্ত মামলাটি তৃতীয় দফা তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় আদালতের নির্দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহীম খাঁনের বেতন ভাতাসহ সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ কওে দিয়েছে। এখন বিচারের অপেক্ষায় দিন গুনছি।

এ বিষয়ে ইব্রাহীম খাঁনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে। আর সে কারনে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ রয়েছে। আমি এ ঘটনার কোনভাবেই জড়িত নই।