প্রকাশিত সংবাদের তথ্যমতে এবার ৬৪ জেলায় মোট ৫০০০ কনস্টেবল নিয়োগ করবে পুলিশ সদরদপ্তর। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বছ ও প্রতিযোগিতামূলক করার লক্ষে ভর্তি পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আসবে এবার। প্রাথমিক বাছাইয়ের পর অধিকতর যোগ্য প্রার্থিরাই কেবল ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে, সকল লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ণ করবে পুলিশ সদর দপ্তর। থাকবে ১৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।
সাধারণত কনস্টেবল ভর্তি প্রত্যাশিরা কোন প্রকার পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়াই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, যা মোটেও ঠিক নয়। আবার অনেকেই ভিন্ন পন্থা খোজতে গিয়ে প্রতারিত হন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে কনস্টেবলে ভর্তি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। কনস্টেবল পদে ভর্তির পর চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা চালিয়ে নেয়া যায়, মেধা ও যোগ্যতা থাকলে সহকারী পুলিশ সুপার পর্যন্ত পদোন্নতির সুযোগও রয়েছে। তাই সম্ভামনাময় এই চাকরির পরীক্ষায় প্রস্তুতিবিহীন অংশগ্রহণে উত্তীর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
পুরুষ প্রার্থীর উচ্চতা যদি ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি (মহিলা প্রার্থীর ক্ষেত্রে ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি) তাহলে আবেদন দাখিল করতে পারবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর উত্তীর্ণ হতে হবে সহিঞ্চুতার পরীক্ষায়, ২০০ মিটার দৌড়াতে হবে ২৮ সেকেন্ডে (মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৪ সেকেন্ড)। এই পরীক্ষায় ভাল করতে চাইলে, নিয়মিত সময় ধরে দৌড়াতে হবে এখন থেকেই। ধূমপানে/কোন নেশায় আসক্তরা বাদ পরে যাবে প্রথমেই।
এস এস সি পরীক্ষার ফলাফল, উচ্চতা, সহিঞ্চুতা, এবং আচরণগত মূল্যায়ণের (স্মার্টনেস) মাধ্যমে তৈরি হবে সংক্ষিপ্ত তালিকা। যারা এই তালিকায় থাকবে তারাই কেবল লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতেই প্রস্তুতকৃত মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।
কনস্টেবল পদে যারা ভর্তি হতে চাও, সবার জন্য শুভকামনা।
সাইফুল ইসলাম খান
এ এস পি
পুলিশ সদরদপ্তর, ঢাকা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।