নাসিম আক্তার, বেনাপোল (যশোর)প্রতিনিধি : দেশের বৃহৎ স্হল বন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি নিয়ে বিজিবি -কাষ্টমসের মাঝে তর্কবির্তক হয়।কাস্টম কর্মকর্তারা মাছের ট্রাকগুলোতে থাকা ট্যাংরা, পারসি, তেলাপিয়া ও ভেটকি মাছ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ভারতে রফতানির অনুমতি দেয়।    মাছের মধ্যে ইলিশ মাছ আছে এমন ধরনের গোপন সংবাদ পেয়ে তারা রফতানিমুখী ট্রাকগুলো আটকে দেয়। বিজিবি বন্দর এলাকার মধ্যে মাছ রফতানি পণ্যবাহী পিকআপ তল্লাশি করার জন্য ট্রাক আটক করে। বিজিবি মাছের কার্টুন খুলে দীর্ঘ সময় পরীক্ষা করে কোন অনিয়ম পায়নি। এসময় প্রায় দুই ঘণ্টা রফতানি বন্ধ ছিলো।
বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, ২১ বিজিবির সুবেদার মশিউর রহমানকে মাছের চালান কাস্টমস এর সাথে সমন্বয় করে দেখার কথা বললেও বিজিবি তা মানেনি।
কাস্টমস সূত্র জানা যায় , সোমবার রাতে ঢাকা মেট্রো-ড-১৪-৭৯১১, ঢাকা মেট্রো-ন-৮৭০০ ও খুলনা মে. ট-১৩১৫নং ট্রাকে করে মাছের চালান ভারতে রফতানির সময় বন্দরের অভ্যন্তরে বিজিবি ট্রাকগুলো আটক করে।
কাস্টমসের অনুমতি না নিয়েই তারা ট্রাক ৩টিতে থাকা সবকটি মাছের কার্টুন খুলে তন্ন তন্ন করে তল্লাশি করে কোন অনিয়ম পায়নি। এতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।
পচনশীল পণ্য হওয়ায় ৭ মে. টন  মাছ নস্ট হয়ে যায়, যার আনুমানিক  দাম ১২ লাখ টাকা।
বিজিবির এই ধরনের হয়রানির জন্য বেনাপোল বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি করবেনা বলে রপ্তানিকারক এরশাদুল আলম জানায়।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান,৪৯ বিজিবির এলাকায় ২১ বিজিবির একটি দল এসে ৩টি  ট্রাকে সাদা মাছ রফতানির সময়  জব্দ করে।
বিজিবি রপ্তানি কৃত মাছ জব্দ করতে চাইলে- বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস কর্মকর্তারা বাধা দেয়।যৌথভাবে তল্লাশি করার বিধান থাকলেও বিজিবি সদস্যরা তা আমলে না নিয়ে রপ্তানি কৃত ট্রাকটি জব্দ করে তল্লাশি চালায়, তা তারা কোন রকম অবৈধ জিনিস না পেলেও ক্ষতি হয় রপ্তানি কারকের। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক নির্দেশনায় বলা  আছে উচ্চ পচনশীল মাছ দ্রুত খালাশ করতে হবে।
মাছের রফতানিকারক সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান,সাউথ ফুড লিমিটেড, খুলনা ও নিলা এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান।
২১ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মঞ্জুর এলাহী জানান, মাছের চালান জব্দ করে তল্লাশি করার সময় কাস্টমসের সাথে বিজিবির কোন মতবিরোধ হয়নি। গোপন সংবাদ ছিলো রফতানিমুখী সাদা মাছের ভেতর ইলিশ মাছ যাচ্ছে। তাই মাছের ট্রাকগুলো তল্লাশি করা হয়েছে।