প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর।

সুমনসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি-

দেশের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে হাওর, বিল ও চর এবং পাহাড়ি এলাকাকে আওতাভুক্ত করতে বলেছেন তিনি।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম জানান, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেসরকারি মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক কাভারেজ কম থাকায় রাষ্ট্রীয় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাভারেজের আওতা বাড়াতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে গতকাল শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মোট চারটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নতুন একটি ও তিনটি সংশোধিত আকারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা।

তাছাড়া তুলনামূলকভাবে পুরোনো প্রযুক্তির কারণে এই ক্যাবলের মাধ্যমে যথেষ্ট দ্রুতগতির সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। এসব বিষয় বিবেচনা করেই বাংলাদেশকে তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়েছে। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নেওয়া প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
একনেক সভার সিদ্ধান্তের বিষয়ে ড. শামসুল আলম সাংবাদিকদেরজানান, প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পকে সময়োপযোগী উল্লেখ করেছেন।এ প্রকল্প বাস্তবায়নের পর ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভুটানে ব্যান্ডউইথ রপ্তানির চুক্তি হয়েছে।তাছাড়া সৌদি আরবও বাংলাদেশথেকে ব্যান্ডউইথ ক্রয়ে আগ্রহী।প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ৩৯২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল (জিওবি) থেকে জোগান দেওয়া হবে।বাকি ৩০০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জোগান দেবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কোম্পানি বিএসসিসিএল।চলতি বছরের অক্টোবরে বাস্তবায়নের কাজ শুরু করে ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।স্থানীয় সরকারের বরাদ্দ যথযথ ব্যয় হচ্ছে কি না, তা তদারকিরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সভায় ৩ হাজার ৩১৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল সংযোগের জন্য ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের প্রথম সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।