বিনোদন প্রতিবেদক: মঞ্চ ও ছোট পর্দার অভিনেতা তাইয়্যাব তুহিন এক সময় নিয়মিত থিয়েটার চর্চা করতেন। স্বপ্নদলের সাথে থিয়েটার চর্চা শুরু করেন। পরে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং থেকে ডিপ্লোমা করে অভিনয়ের দক্ষতা অর্জনের জন্য জাপানিজ প্রখ্যাত অভিনয় গুরু শিনজি কিমুরা সানের কাছ থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত কর্মশালায় অংশ নেয়, জাপানিজ অভিনয় ধারা শেখার জন্য। পার্থ প্রতিম মজুমদারের কাছে মূকাভিনয়ের হাতেখড়ি ও পরবর্তীতে মূকাভিনয় চর্চা করেন। থিয়েটারে নিয়মিত হলেও কর্মজীবেনের ব্যস্ততার জন্য মিডিয়াতে নিয়মিত কাজ করা হয়ে উঠেনি।
একসময় কাজের চাপে অভিনয় থেকে চলে যেতে হয়। বাদল সরকারের ত্রিংশ শতাব্দী নাটকে মেজর ফেরেবি চরিত্রে অভিনয় করে মঞ্চে ব্যাপক সাড়া ফেলেন। তার অভিনীত মঞ্চ নাটক গুলো হলো ‘ডাকঘর’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ‘ত্রিংশ শতাব্দী’ বাদল সরকার, অনুবাদ নাটক ‘চন্দর কোথায়’ হাসান আজিজুল হক। অভিনয় থেকে দূরে সরে গেলেও পরিচালক হাসান রেজাউল ২০১৯ সালে সৈয়দ শামসুল হকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত নাটক ‘নীল দংশন’ এ অভিনয় করে বেশ প্রসংশিত হন তিনি। তারপর জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক মুরাদ পারভেজের পরিচালনায় বর্তমানে অভিনয় করছেন দীর্ঘ ধারাবাহিক ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’ নাটকে।
এতে তিনি প্রতীম চরিত্রে অভিনয় করছেন। নাটকে গল্পে দেখা যাবে, ‘অবহেলিত বঞ্চিত গ্রামের ছেলে প্রীতম এই বাংলার হাজারো যুবকের আরেক নামের প্রতীক। ভার্সিটির বন্ধু শম্পাকে ভালোবাসলেও বলতে পারে না; কারণ শম্পা ভালোবাসে ওদের বন্ধু আরমানকে। একদিকে শম্পাকে না পাওয়ার কষ্ট, অন্যদিকে শম্পার অবহেলা সহ্য করতে না পেরে ভার্সিটির পাঠ চুকিয়ে চলে যায় গ্রামে।
গ্রামে সবুজ বিপ্লব ঘটিয়ে দীর্ঘ বছর পর ফিরে আসে ঢাকায়। সেখানে এসে আবার শম্পার কথা মনে পড়ে। হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকে শম্পাকে। ততদিনে শরীরে বাসা বাঁধে ব্লাডক্যান্সার। এক সময় শম্পাকে খুঁজে পায়। শম্পার সুখের জন্য আরমানের সাথে বিয়ে দিতে চায়। বর্তমানে বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্টিজে প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।