সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর)। সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে আগামী বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৯টায় মামলাটির রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম এই তথ্য নিশ্চিতকরেন।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট টানা তিনদিন মামলার ১ নম্বর সাক্ষী ও বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালত। পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, ‘আজ মামলার ৩ নম্বর সাক্ষী দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা। আজ ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিতে পারবো বলে আশা করছি। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

এই মামলার ১ ও ২ নম্বর সাক্ষী ছাড়া বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজ রোববার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন বিজ্ঞ আদালত।’ গত বছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেক পোস্টে গুলি করে হত‌্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট তার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম। ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সিনহা হত্যা মামলাটি বেআইনি ও অবৈধ দাবি করে ৪ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি লিয়াকতের আইনজীবী মাসুদ সালাহ উদ্দিন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলার বিশেষ কোনো অগ্রগতি এখনও পর্যন্ত লক্ষ্যনীয় নয়।