মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের যাদবপুর (গোপালপুর) গ্রামে ছেলে জয়নাল (১৬) এর লাঠির আঘাতে পিতা নুরুল ইসলাম ওরফে বগলা নুরুল (৫৫)এর মৃত্যু হয়েছে খবর পাওয়া গেছে।
এঘটনায় ৬ (অক্টোবর) সোমবার সকালে ছেলেকে আটক করেছে হরিপুর থানা পুলিশ। তার স্বীকারোক্তিতে বাশেঁর লাঠিসহ রক্তাক্ত কাপর উদ্ধার করা হয়।
গ্রামবাসি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৫ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ তৈরি হয়। একসময় স্বামী তার স্ত্রীকে মারপিঠ শুরু করে। এরপর ছেলে ঘটনা জানতে পেয়ে এগিয়ে আসলে ছেলে পতি ক্ষিপ্ত হয় পিতা। দুইজনের মধ্যে চরম উত্তেজিত তৈরি হলে মারপিঠ শুরু হয় পিতা পুত্রের মধ্যে, দীর্ঘ ক্ষুন উত্তেজিত হওয়াই রবিবার রাত অনুমান ১০টার সময় পিতার মাথার উপরে সহজরে ছেলে লাঠির আঘাত করলে গুরুত্ব অসুস্থ্য হয়ে পরে পিতা। গ্রাম ও প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে এক শত গজ দূরে ঘটনার স্থল থেকে উদ্ধার করে অটোযোগে রানীশংকৈল হাসপাতালে পাঠালে তাকে রেফার্ড করে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে মারা যায় পিতা নরুল ইসলাম।
নিহতের স্ত্রী বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় মুড়ি খাওয়ার জন্য আমার কাছে চাই জয়নাল এর বাবা, আমি চানাচুরসহ মুড়ি দিলে আমার কাছে আধা ও রসূন চাই, আমি বলি বাড়িতে আধা নাই, এই কথোপকথন শুরু হয় আমাদের মধ্যে। হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে আমার পতি মারপিঠ শুরু করলে, আমি গ্রামের দোকানে চলে যায়, আমার ছেলে জয়নাল সেখানে আমাকে দেখতে পেয়ে বাড়িতে আসলে পিতাপুত্রের মধ্যে চরম উত্তেজিত তৈরি হয়। এসময় মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটানার স্থলে জয়নালের বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকে। আমিসহ গ্রামবাসি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথের মধ্যে সে মারা যায়।
এবিষয়ে হরিপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আওরঙ্গজেব বলেন, পিতার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় ছেলে আটক করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা বের হয়ে আসবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।