জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী পরীমণিকে ভীষণ সাহসী বলেছেন। এও বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে পরীমণিকে আমার ভালো লাগে। যেটা বলা উচিত সেটা সবার সামনে বলে ফেলেন, বলার সেই ক্ষমতা রাখেন। তার দেশের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন এ অভিনেত্রী। যা খুব সহজ নয়। যা করছেন, বেশ করছেন তিনি।’ সোমবার আলোচিত নায়িকা পরীমণি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নচিকেতার একটি গান শেয়ার করেন।
সেই গানটি ছিল ২০১৭ সালের ‘এত সাহস কার’, যে গানের প্রতিটি পংক্তি যেন পরীমণির এই সময়ের কথা বলে। আনন্দবাজারের কাছ থেকে পরীমণির এ বিষয়টি জেনেই নচিকেতা এ মন্তব্য করেন। আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ীর কু-দৃষ্টির শিকার হওয়া, তার বিরুদ্ধে মুখ খুলে হত্যার হুমকি পাওয়া, এরপরেই মাদক মামলায় ২৭ দিনের কারাবাস, মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত করে দিয়েছে পরীমণিকে। তবুও তিনি লড়ছেন। তার সেই লড়াইয়ের নেপথ্য শক্তি, নানা শামসুল হক গাজির লেখা একটি চিঠি এবং নচিকেতার গান। যে গানে শিল্পী বলেছেন, ‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে, এত সাহস কার?… তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার।’
এ প্রসঙ্গে নচিকেতার বক্তব্য, ‘আমি জানি পরীমণি আমার গান শোনেন। পছন্দও করেন। তার অনুপ্রেরণা জেনে ভালো লাগছে।’ পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘সবার বোঝা উচিত, অভিনেত্রীরও না বলার অধিকার আছে। সেই না উচ্চারণ করেই পরীমণি আজ এত বিপাকে। এটা তার দোষ নয়। সমাজের দোষ।’ একইসঙ্গে তিনি দুষেছেন গণমাধ্যমকেও। অভিযোগ, ‘সমাজের মতোই এক চক্ষু সংবাদমাধ্যমও। কেচ্ছার গন্ধ পেয়ে নড়ে বসেছে। অভিনেত্রীর হয়ে ক’জন মুখ খুলছে?’ নচিকেতার আরও আক্ষেপ, ‘সমাজের এই ধারা সব জায়গাতেই সমান।
শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের চিত্রও এক। নইলে নুসরাত জাহানকে নিয়েও এত বিতর্ক তৈরি হত না।’ নচিকেতা উদাহরণ দেন ষাটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালা সিন্হার। বলেন, ‘সেই সময় তাকে শুনতে হয়েছিল, তার যাবতীয় উপার্জন নাকি বেশ্যাবৃত্তি করে হয়েছে। সমাজ বরাবর নিজের জোরে উপরে উঠতে থাকা নারীদের গায়ে কালি মাখিয়ে তাদের নিচে নামিয়েছে। তাই পরীমণিকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সবসময় পাশে আছি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।