যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সশরীরে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের শুরুতে স্নাতক শ্রেণির শেষ বর্ষের পরীক্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতি দ্রুত পরীক্ষার সূচিও ঘোষণা করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সর্বশেষ প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) যবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনে সকাল ১০ থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত স্নাতকোত্তর শ্রেণির সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হলে সংশ্লিষ্ট ডিন, চেয়ারম্যানদের নিয়ে পরীক্ষার হল পরিদর্শনে যান যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। এসময় তিনি বলেন, সেশনজট দূরীকরণ ও দেশের দক্ষ জনশক্তি যোগানের জন্য ঝুঁকি থাকলেও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্নাতকোত্তর শ্রেণির পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে স্নাতক শ্রেণির শেষ বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার সময় যেসব শিক্ষার্থীর বাইরে থাকার সার্মথ্য নেই, তাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে হলে থাকার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সব বর্ষের পরীক্ষা সমাপ্ত করা। তবে কোনো শিক্ষার্থী যেন ঝরে না পড়ে এজন্য অনলাইন ও সশরীরে উপস্থিতিতে দুই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা বা অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রাখা হবে। যবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস জানায়, যেসব বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী রয়েছে, সেসবের প্রায় প্রতিটি বিভাগে পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

প্রথম দিন পাঁচটি বিভাগে পরীক্ষা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী থাকা সব বিভাগেই পরীক্ষা হবে। স্ব স্ব বিভাগে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হল সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে একজন শিক্ষার্থীকে একটি কক্ষে রাখা হয়েছে। হলের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের খাওয়া-দাওয়ার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের একদিন পরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় হলে থাকার জন্য ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর থেকে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। তাদের সংখ্যা পর্যালোচনা করে পরবর্তী বর্ষের শিক্ষার্থীদের বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এদিকে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য পরীক্ষা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারের সব চিকিৎসক, নার্স ও মেডিক্যাল স্টাফের ছুটি বাতিলও করা হয়েছে।