লিওনেল মেসির মতো কেউ একজন না থাকলে চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় আসরে যে ভালোই ভুগতে হয়, সেটা আজ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বার্সেলোনা। মেসি যাওয়ার পর চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বার্সা। গোটা ম্যাচ জুড়ে বায়ার্নের গোলপোস্ট বরাবর একটা শটও মারতে পারেনি দলটা, গোল করা তো দূরে থাকুক। চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে কখনও হারেনি বার্সেলোনা, আজ সে রেকর্ডটাও আর রইল না। ন্যু ক্যাম্পে মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচে জার্মান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে জোড়া গোল করেন রবার্ট লেভানডভস্কি।
বাকি গোলটি আসে থমাস মুলারের পা থেকে। বায়ার্নের একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কাতালানরা। ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো জার্মান জায়ান্টরা। তবে লিরয় সানের দুর্দান্ত ভলি ঝাপিয়ে ক্লিয়ার করেন বার্সা গোলরক্ষক। ৩৩তম মিনিটে মুলারের শট আর ঠেকাতে পারেনি টের স্টেগেন। ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন জার্মান এ ফরোয়ার্ড। কাতালানদের হয়ে সদ্য দলে ভেড়ানো মেম্ফিস ডিপেই ও লুক ডি জং কোনো সুযোগ করতে পারছিলেন না। পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ক্লাবটি। বিরতির পরও ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না বার্সা। সিংহভাগ বল নিয়ন্ত্রনে রাখা বায়ার্ন বারবার আক্রমণ করে যাচ্ছিল কাতালানদের।
৫৬তম মিনিটে জার্মান ক্লাবটির স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন লেভানডভস্কি। জামাল মুসিয়ালার শট গোলপোস্টে থেকে ফিরে এলে পরের শটেই বার্সার জাল খুঁজে নেন পোলিশ এ তারকা। ৮৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোলের দেখা পান লেভা। সার্জি গিনার্বির দুর্দান্ত এক শট স্টেগেন ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে জাল খুঁজে নিয়ে ব্যবধান বাড়াতে ভুল করেননি এ স্ট্রাইকার।
এ নিয়ে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পায় বার্সেলোনা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করেছে দিনামো কিয়েভ আর বেনফিকা। ফলে প্রথম রাউন্ড শেষে সবার নিচেই পড়ে রইল কাতালানরা। পরের ম্যাচে বেনফিকার বিপক্ষে খেলতে যাবে বার্সেলোনা। দেখা যাক, সে ম্যাচে ভাগ্যবদল ঘটে কি না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।