করোনাভাইরাস মহামারির কারণে থমকে গিয়েছিল ক্রিকেট বিশ্ব। তবে অনেক কড়াকড়ির মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠে গড়ায় গত বছরের জুলাইয়ে। বাংলাদেশের পুরুষ জাতীয় দলও গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে মাঠে ফেরে। কিন্তু নারী জাতীয় দলকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করে যেতে হয়েছে।
শেষ পর্যন্ত অপেক্ষার অবসান হলো, দেড় বছরেরও বেশি সময় পর জিম্বাবুয়ে সফর দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন সালমা-জাহানারারা। নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বায়ো-বাবলে ঢোকার আগে জিম্বাবুয়ের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ।
গত বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এটাই তাদের প্রথম আন্তর্জাতিক সিরিজ। বিসিবির নারী ক্রিকটে উইংয়ের প্রধান শফিউল আলম চৌধুরী ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘এই সিরিজ নিয়ে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আলোচনা করেছিল। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নারী দলের তিনটি ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
ওয়ানডে সিরিজ কেন, সেই ব্যাখ্যা দিলেন এই কর্মকর্তা, ‘আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজের জন্য কেবল ওয়ানডে ম্যাচের কথা বলেছি কারণ কোয়ালিফায়ার ওয়ানডে ফরম্যাটের। কোয়ালিফায়ারের আগে আমাদের দলের জন্য এটি হবে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি।’ গত বছর বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ছিটকে যাওয়ার পর বাংলাদেশের নারীরা একমাত্র শীর্ষ প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলেছিল গত এপ্রিলে।
যখন দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে সিলেটে এসেছিল। তবে বাংলাদেশে করোনার কারণে ফের লকডাউন শুরু হলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার ঘোষণায় পঞ্চম ম্যাচটি না খেলে দেশে ফিরে যায় সফরকারী দল। বাংলাদেশ শেষ ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল ২০১৯ সালের নভেম্বরে। দুই বছর পর আবার তারা ওয়ানডে সিরিজ খেলতে ৪ বা ৫ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে।
দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও মেয়েদের ফিট রাখতে ৬০ ক্রিকেটারকে নিয়ে সাভারের বিকেএসপিতে স্কিল অ্যান্ড ফিটনেস ক্যাম্প আয়োজন করে বিসিবি, যেখানে ২২ জন কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়রাও ছিলেন।
১৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পে দুটি ধাপে চার দলে ভাগ হয়ে ৫০ ওভারের একিট টুর্নামেন্ট খেলে তারা। এখন পর্যন্ত উপযুক্ত প্রার্থী খুঁজে না পাওয়ায় এই সফরে স্থানীয় কাউকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে নাদেল জানান।
চুক্তি শেষ হওয়ায় গত বছরের জুনে সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক আঞ্জু জাইন চলে যাওয়ার পর থেকে পদটি শূন্য পড়ে আছে। নতুন কোচের জন্য মে মাসে প্রধান কোচের আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল বিসিবি। ১০ জুন ছিল আবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন, কিন্তু উপযুক্ত কাউকে পায়নি তারা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।