জাহিদ বসুন্দিয়া : যশোর জেলার, সদর উপজেলার বসুন্দিয়ায় একাধীক ওয়ার্ডে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তেমন কোন নজর না দেওয়ায় গ্রামবাসীর উদ্যোগে পানি-কাদা থেকে বাঁচতে মাটির কাঁচা রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। গত কয়েকদিন যাবৎ ইউনিয়নের কয়েকটি কাঁচা রাস্তায় গ্রামবাসী সামর্থ অনুযায়ী নিজেদের পকেটের টাকায় সংস্কার কাজ করছে।
সম্প্রতি এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ষার পানিতে গ্রামের মাটির কাঁচা রাস্তাগুলো অতিরিক্ত কাঁদা হওয়ায় যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোন প্রতিকার না থাকায় দিন দিন রাস্তা বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। চলমান করোনা মহামারীতে থমকে যাওয়া জনজীবনে নেমে আসে আবারও স্থবিরতা।
অতীষ্ট হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রায়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সদয় দৃষ্টি না থাকায় অবশেষে গ্রামবাসী বালু আর ইটের শুড়কি ব্যবহার করে সাময়িকভাবে রাস্তা সংস্কারের এ উদ্যোগ গ্রহন করেন। সংস্কারকৃত রাস্তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১নং ওয়ার্ডের কেফায়েতনগর গ্রামের ২টি রাস্তা। এই রাস্তা দুটির দুইপ্রান্তেই রয়েছে পাকা ও ইটের সলিং কিন্তু মাঝখানে পড়ে আছে যথাক্রমে প্রায় ১৪০০ ফুট এবং প্রায় ১৮০০ফুট কাদায় ভরা কাঁচা রাস্তা।
এছাড়া কেফায়েতনগর গ্রামে রয়েছে প্রায় ৩০০০ফুট অবহেলিত আরও একটি বিদ্ধস্থ কাঁচা রাস্তা, যে রাস্তাটি যশোর- খুলনা মহাসড়কের বসুন্দিয়া মোড় বাজার থেকে শুরু হয়ে গ্রামের মাঝ বরাবর জগন্নাথপুর গ্রামে চলে গেছে।
গ্রামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার থাকলেও যাতায়াত ব্যাবস্থ্যা অত্যন্ত দূর্বল। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলা হয়, জনপ্রতিনিধির অপেক্ষায় আর কতদিন? পানি-কাদার রাস্তাগুলো চলাচলের মত উপযোগী আমাদেরকেই করে নিতে হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।