তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার যে কারও ব্যাংক হিসাব চাইতে পারে। তবে কি কারণে সাংবাদিক নেতাদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তা জানি না। আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি। এ নিয়ে সাংবাদিক নেতাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, যে সব সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব চাওয়া হয়েছে তাদের আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তাদের আর্থিক অবস্থা সম্পর্কে জানি। আপনাদের হিসাব পাওয়ার পর যারা হিসাব তলব করেছেন তারা নিজেরাই এ বিষয়ে বুঝতে পারবেন। সাংবাদিক নেতাদের যেন হয়রানি করা না হয় সেজন্য যা কিছু করা দরকার আমি করবো। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর প্রয়োজন আছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোনো গৃহবধু হয়রানির শিকার হলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রতিকার পাবেন। এজন্য আইনটি করা হয়েছে। এই আইন যেন সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালন বাধাগ্রস্থ না করে এবং কোনোভাবে যেন এ আইনের অপব্যবহার না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য সরকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, এ ধরণের আইন বিভিন্ন দেশে আছে। বেশ কিছু দেশে এর চেয়ে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হচ্ছে। সভায় সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভুঁইয়াসহ সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।