মোঃ এনামুল হক, লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈজ্ঞানিকদের দৃষ্টিতে মৃতদেহকে কবরে দেওয়ার ঠিক ২৪ ঘন্টা পরে মানুষের শরীরের ভিতরে এমন পোকার উৎপত্তি সৃষ্টি হয় যা মৃতদেহের পায়ু দ্বার দিয়ে বের হতে থাকে। এমন দুগর্ন্ধ ছড়ায় যা সহ্য করা অসম্ভব। আর ঐ দুগর্ন্ধ পোকার সমগোত্রীয় পোকাদের নেমতন্ন দেয়।
দুগর্ন্ধ পেয়ে সমস্ত পোকা মাকড় বিচ্ছু মানুষের মৃতদেহের দিকে যাত্রা শুরু করে আর সবাই মিলে মানুষের মাংস খাওয়া শুরু করে দেয়।
কবরস্থ করার তিনদিন পরে সবচেয়ে প্রথমে নাকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং পচন ধরে যায়।
৬দিন পরে নখ খসে পড়তে থাকে।
৯দিন পরে চুল খসে পড়া শুরু হয়।
মানুষের শরীরের সমস্ত লোম ঝরে পড়ে আর পেট ফোলা শুরু হয়ে যায়।
১৭ দিন পরে পেট ফেটে যায় আর শরীরের ভিতরের সমস্ত অংশ বাহিরে বেরিয়ে আসে।
৬০ দিন পরে মৃতদেহের শরীরের সমস্ত মাংস শেষ হয়ে যায়|মানুষের শরীরে একটা টুকরো মাংস অবশিষ্ট থাকে না।
৯০ দিন পরে সমস্ত হাড় একে অপরের থেকে পৃথক হয়ে যায়।
১বছর পরে মানুষের শরীরের সমস্ত হাড় মাটির সঙ্গে মিশে যায়।আর যে মানুষের মৃতদেহ কবরস্থ করা হয়েছিল তার সমস্ত অস্তিত্ব মুছে যায়।
আমরা কেন এত অহংকার করি,হিংসা করি,লোভ লালসা করি,ধনদৌলত করি,ফাঁকাবাজি করি, সুতরাং এত সৌন্দর্য, সম্মান,শক্তি,বাদশাহী কোথায় যায় বুঝতে পেরেছেন -সবকিছু মাটিতে মিশে যায়।
মানুষের অস্তিত্ব বা কি আছে?
মাটি থেকে সৃষ্টি মাটিতেই কবরস্থ হয়ে মাটিতেই মিশে যায়।
৫ফিট ৬ফিট ৭ফিট ৮ফিট মানুষ কবরে চলে যাওয়ার পরে তার নাম, চিহৃ মুছে যায়।
এই দুনিয়াতে গাম্ভীর্যের সঙ্গে বিচরণকারী যখন কবরে চলে যায় তখন তার অস্তিত্ব মাটি ছাড়া অন্য কিছুই থাকে না।
অতএব মানুষের আসল জীবন,আমৃত্যু জীবন যাতে সুন্দর হয় এবং শান্তিপূর্ণ হয় তার চেষ্টা করা উচিত এবং সেই মোতাবেক কাজ করা উচিত।
তবে মনে রাখা উচিত মানব দেহ সমস্ত ধ্বংস বা শেষ হলেও মানব দেহের একটি হাড় ব্যতীত! প্রায় ১৪৫০ বছর আগে আল্লাহর রাসুল মুহাম্মদ(সাঃ) আমাদের যে তথ্য দিয়ে গেছেন তা বৈজ্ঞানিকরা বহু অর্থ ব্যয় করে এবং গবেষণা করে প্রমান পেয়েছে।
চীনের বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন যে মানুষের শরীরের পিছনে মেরুদণ্ডের নিচে যে একটি হাড় রয়েছে যার নাম Coccyx bone তা কখনও ভেংগে যায় না, মাটিতে খেয়ে ফেলে না,পোড়ানো যায় না,কোন ক্যামিকেলের মধ্যে দ্রবীভূত হয় না।
বিজ্ঞানীরা এই হাড়টি বহু গবেষণার পর এই সিদ্বান্তে উপনীত হয়েছেন যে এই হাড়টি কখনও ক্ষয়প্রাপ্ত হবে না।
এবার হাদিস দেখুনঃ আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন একটি হাড় ব্যতীত গোটা মানবদেহ ক্ষয়প্রাপ্ত হবে।সেটি হল পাজরের হাড় এবং এই হাড় থেকেই কিয়ামতের দিন সৃষ্টির দৈহিক কাঠামো পুর্নগঠিত করা হবে (ইবনে মাজাহ ৪২৬৬)
সহীহুল বুখারী-৪৮১৪,৪৯৩৫, মুসলিম-২৯৫৫,নাসায়ী-২০৭৭,আবু দাউদ-৪৭৪৩ আহমদ- ৮০৮৪,৯২৪৪,১০৯৯,মুয়াত্তা মালেক-৫৬৫
প্রমান করে দিয়েছেন আয়াতগুলিতে|
ডা.মোঃ এনামুল হক
“হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার”
“সাংবাদিক”
উপজেলাঃ লোহাগড়া,জেলাঃ নড়াইল। আমার লেখার ভিতর হয়তো ভুল হতে পারে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি গভীর রাত জেগে আল্লাহপাকের সৃষ্টির রহস্য আর আমাদের দুনিয়ার বুকে প্রেরন করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করি।যতটুক সম্ভব চেষ্টা করি আল্লাহপাকের হুকুম মেনে চলতে। তবে প্রতিটি মানুষকে আল্লাহপাক সৃষ্টি করেছেন কোন ধর্মবর্ণ পার্থক্য দিয়ে সৃষ্টি করেন নাই। করেছেন এই জন্য তার গুনোগান আর আদেশ মান্য করার জন্য দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আমরা যা হাদিস থেকে পাই সেটি হল পাজরের হাড় ঐ হাড়টি দিয়ে তৈরি করিবে এবং দুনিয়ার সকল কিছু ভিডিও হয়ে থাকবে কেহ অস্বীকার করতে পারবে না। প্রত্যেকেই মৃত্যের কথা প্রতি সেকেন্ডে মনে বা স্মরন করিতে হবে। মৃত্য অবধারিত এবং গ্যারান্টি।আল্লাহপাক যেন আমাদের তার পছন্দের মানুষ হিসেবে দুনিয়ার থেকে কবরবাসী করুক আমিন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।