অনেকের মতে, এমনটিই হওয়ার কথা ছিল। লিওনেল মেসিকে হারিয়ে ছন্দহীন দুর্বল দলে পরিণত হবে বার্সেলোনা। সেই ধারণা যেন সত্যিতে রূপ দিতে চলেছেন রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। স্প্যানিশ জায়ান্টরা জয় কী জিনিস যেন ভুলেই গেল। যে কোনো দল বলে-কয়ে হারাচ্ছে তাদের। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, শুধু মাঠের পারফরম্যান্সেই নয়, অভ্যন্তরীণ কোন্দলও চলছে বার্সেলোনায়। সর্বশেষ গ্রানাডার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করার পর অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে সেখানে।
কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বার্সার বাকি অংশের। যে কোনো সময় কোম্যানকে বরখাস্ত করতে পারে বার্সা! কোম্যানের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে বার্সা কর্তৃপক্ষের। ক্ষোভ বাড়াই স্বাভাবিক। কারণ এবারের লা লিগায় প্রথম চার ম্যাচ থেকে মাত্র দুটি জয় পেয়েছে বার্সা। কোনোমতে দুটি ম্যাচে হার এড়িয়ে পেয়েছে আরও দুটি পয়েন্ট। চ্যাম্পিয়নস লিগটা আরও বাজেভাবে শুরু করেছেন কাতালানরা। প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে।
সে হারে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগে হারের হ্যাটট্রিকের মতো কদর্য রেকর্ডও হয়েছে বার্সার। আর এসব রেকর্ডই হয়েছে রোনাল্ড কোম্যানের অধীনে। কোচ হিসেবে কোম্যানের এই যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্সে হতাশ বার্সা সভাপতি হোয়ান লাপোর্তা। তার সঙ্গে কোম্যানের দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য। ইতোমধ্যে কোম্যানকে ছাঁটাইয়ে এক ধরনের ইঙ্গিতও দিয়েছেন লাপোর্তা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর লাপোর্তা সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে এক ভিডিওবার্তায় লাপোর্তা বলেছেন, ‘আপনাদের সবার মতো আমিও হতাশ এবং মর্মাহত। চিন্তা করবেন না, আমরা এ সমস্যার সমাধান করব।’ এদিকে দলের এমন সংকটময় সময়ের দায় নিতে চান না কোম্যান। সংবাদমাধ্যমে কড়া কড়া মন্তব্য করছেন। লাপোর্তার সমালোচনাও করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।