মোস্তফা কামাল, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ
কেশবপুরে প্রভাবশালী কর্তৃক একটি নির্মানাধীন পাকা দোকানঘর ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার প্রতাপপুর চৌরাস্তা বাজারে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
শুক্রবার (২৪ মেপ্টম্বর-২১) সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, উপজেলার প্রতাপপুর গ্রামের আবুল কাসেম সানার ছেলে মিলন হোসেন তার পিতা ও ৪’ফুফু যথাক্রমে রেবেকা, লিলিমা, মর্জিনা ও কহিনুরের কাছ থেকে প্রতাপপুর চৌরাস্তা মোড় বাজারস্থ প্রতাপপুর মৌজার ৪৩ নং খতিয়ানের ১১৮৪ দাগের ১৯ শতক জমির মধ্যে পাশ উল্লেখ করে ২০১৯ সালে ১.৬৬ ও ৩.৩৪ শতক জমি পৃথক দু’টি দলিলের মাধ্যমে রেজিঃ করে নেয়। যার দলিল নং-২৩৭০ ও ২৩৫৯। সেই থেকে মিলন উক্ত জায়গা ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু তার এই ক্রয়কৃত ভোগদখলীয় সম্পত্তি জোর দখলে নিতে প্রতিবেশী ঘরজামাই সাফাত সুলতান দীর্ঘদিন ধরে হুমকী-ধামকী দিয়ে আসছিল। এদিকে শুক্রবার সকালে মিলন হোসেন শ্রমিক নিয়ে তার জায়গায় দোকান ঘর নির্মানকালে প্রতিবেশী জনাব আলী গাজীর ঘর জামাই সাফাত সুলতান ও স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি ওজিয়ার রহমানের নেতৃত্বে ভাড়া করা সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে উক্ত নির্মানাধীন দোকানঘর ভাংচুর করে। এসময় তাদের কাজে বাঁধা প্রদান করায় ভাংচুরকারীরা মিলন ও তার শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাননাশের হুমকী প্রদান করে।
এব্যাপারে মিলন হোসেন এই প্রতিনিধিকে জানান, পৈতৃকসূত্র থেকে উক্ত সম্পত্তি তাদের দখলে রয়েছে। কিন্তু প্রতিবেশী সাফাত সুলতান দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তাদের দখলীয় সম্পত্তি জোর করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। দোকান ঘর ভাংচুর ও হুমকীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।
নির্মানাধীন দোকান ঘর ভাংচুরের কথা সিকার করে সাফাত সুলতান বলেন, যেহেতু বিরোধপূর্ন এই জায়গাটি তার নিজের ও এবং তিনি মাটি দিয়ে ঐ জায়গাটি ভরাট করেছেন। তাই উক্ত জায়গাটি দখলমুক্ত করতে তিনি নিজে লোকজন নিয়ে সেটি অপসারন করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।