নূরুল হক, মনিরামপুর প্রতিনিধিঃ
মণিরামপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের গাংড়া গ্রামের প্রধান সড়কসহ সমস্ত মোল্যাপাড়া জলাবদ্ধতার কারণে এলাকাবাসির চরম কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকাটির বেশিরভাগ অংশ জলাবদ্ধতাসহ চলাচলের প্রধান সড়কটির প্রায় সম্পূর্ণ রাস্তা হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায়। যথাযথ ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকা ও সড়কটি নিচু হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার শিক-শিার্থী, শ্রমিক, দিনমজুর, চাকুরীজীবিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের। কিন্তু তা যেন দেখার যেন কেউ নেই। দীর্ঘদিন প্রতিকারের জন্য বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না বলে এলাকাবাসির দাবী।
সরেজমিন দেখা যায়, মণিরামপুর পৌর এলাকার ২নং-(গাংড়া-জয়নগর-মহাদেবপুর) ওয়ার্ডের গাংড়া গ্রামের মোল্যাপাড়া এলাকাবাসির চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। পৌর এলাকার যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংলগ্ন মোল্যাপাড়ার মোড় থেকে পূর্ব দিকে গ্রামের মধ্য দিয়ে এ সড়কটি মণিরামপুর সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কাছে মণিরামপুর-ঢাকুরিয়া সড়কের সাথে মিলিত হয়েছে। মোল্যাপাড়া মোড় থেকে সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত এ রাস্তাটি প্রায় ৫’শ মিটার। ঠিক এ সড়কের মাঝখানেই মোল্যাপাড়ার মধ্যেই প্রায় ২’শ মিটার সড়ক এ বেহাল অবস্থা বিদ্যমান। সাথে সাথে রাস্তার দু’পাশের বসবাসরত জনসাধারণের দূর্ভোগের শেষ নেই। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এখানেই রাস্তায় উপর হাটু পানিতে তলিয়ে যায় এবং সেটা রাস্তার উপরে কয়েকদিন পর্যন্ত জমে থাকে। তাছাড়া এর আশপাশের এলাকাসমূহ কয়েকদিন কোমর পর্যন্ত পানি জমে থাকে। তাতে করে এসব স্থানে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় ও নানাবিধ রোগবালাইয়ের আধিক্য দেখা দেই। যে কারণে এলাকাবাসির নানাবিধ সমস্যার সম্মূখীন হতে হয়। তাছাড়া আশপাশে বসবাসরত জনসাধারণের চলাচলের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেই। যাতায়াত করতে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের আমলে রাস্তাঘাটসহ মণিরামপুরে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও মোল্যাপাড়ার এ সড়কটি নামেই মাত্র পাঁকাকরণ হয়েছে। অথচ এ এলাকাটি মণিরামপুর পৌরসভার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এলাকাটি দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতা সমস্যায় জর্জরিত। এখানে যথাযথ কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। কর্তৃপরে কোনো প্রকার সুদৃষ্টি নেই এই এলাকার মানুষের জন্য। তাদের একমাত্র দাবী বৃষ্টির পর দ্রæত এ এলাকা থেকে পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে দৃষ্টি।
এ বিষয়ে স্থানীয় বসবাসকারী ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সমীর মোল্যা বলেন, ‘এ এলাকার সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাটু পর্যন্ত পানি জমে থাকায় আমাদের এখানে বসবাস করা ও চলাচলে অত্যধিক কষ্ট হয়। তাছাড়া ময়লা পানির ভিতর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়-যেটা আমাদের কাম্য নয়। এখানে যদি দ্রæত পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয়-তাহলে এলাবাসির জন্য খুবই ভাল হয়।’
শ্রমিকনেতা আব্দুল হালিম বলেন, ‘কত নেতা আসে যায়- কিন্তু আমাদের এ সমস্যার সমাধান হয়না। ভোটের আগে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা কত কথা বলে, কিন্তু ভোটের পরে কেউ কোনো খোঁজখবর নেয় না। আমরা এ জলাবদ্ধতার লাঘবের জন্য বিভিন্ন মহলে অনেক চেষ্ট করেছি। জনপ্রতিনিধি আর নেতাদের প্রতিশ্রæতিই শুনে যায়, কাজের কাজ কিছুই হয় না।’
জানতে চাইলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুমন দাস বলেন, ‘এ এলাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ তার প্রধান কারণ। আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েই জলাবদ্ধতা নিরসনে মাননীয় মেয়র মহাদ্বয়ের সাথে আলোচনা করেছি। ইতোমধ্যে একটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। দ্রত নুতন করে ড্রেন নির্মাণ করে এ জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান করা হবে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও কালভার্ট যেটাই প্রয়োজন-দ্রæততার সাথে সেটা করা হবে। তবে আপাতত পাম্পের সাথে এলাকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।