মোঃ এনামুল হক লোহাগড়া স্টাফ রিপোর্টার:নড়াইল জেলায় নড়াইল সদর হাসপাতাল শহরে অবস্থিত।সদর হাসপাতালে জেলাসহ জেলার বাহিরের থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগীর আগমন ঘটে তবে সেই হাসপাতালটির পরিবেশ যদি এরকম হয় তাহলে বলার কিছু থাকে না,সরকারী হাসপাতাল শুধু নড়াইল জেলা সদর নয় বাংলাদেশের প্রতিটি হাসপাতাল অবহেলিত অবস্থায় এবং নোংরা দুর্গন্ধময় রয়েছে।
মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপর দৃষ্টি আকর্ষণ সাধারন জনগন সহ ভুক্তভুগীদের আহাজারি কে কর্ণপাত করুন এবং নজর দিন।
নড়াইল সদরসহ নড়াইলের ৪ টি থানার অন্তরগত হাসপাতাল রয়েছে,তদন্ত করলে দেখা যাবে প্রতিটি হাসপাতালে নোংরা অবস্থা, আর রোগীদের প্রতি অনিহা অবহেলায় পড়ে আছে বেটে কিংবা ফ্লোরে। এভাবে সরকারী অফিস আদালত ও হাসপাতালের অবস্থা হয় তাহলে জনগন কি সেবা পেতে পারে।
প্রতিনিয়ত যে সকল ময়লা জমে থাকে সে সকল ময়লা বিভিন্নভাবে পড়ে আছে যেমন- কোন দেওয়ালের পাশে,কর্নারে জমা রাখে কয়েক সপ্তাহ।আধুনিক নামে হাসপাতাল নাম করন করা হয়েছে কিন্তু দেখলে মনে হয় পুরাতন জমিদারদের বাড়ি যেভাবে পরিত্যাক্ত অবস্থা, ঠিক সে রকমের অবস্থায় রুপ নিয়েছে সরকারী সকল প্রতিষ্ঠানগুলি।
প্রচন্ড রকম দূর্গন্ধ ছড়াইতেছে হাসপাতালের ভিতর “দৈনিক অপরাধ কন্ঠ” নড়াইল ব্যুরো চীফ সাংবাদিক মোঃ এনামুল হক বিভিন্ন সময় লক্ষ করে দেখতে পান এই ধরনের পরিবেশ।প্রতিটি হাসপাতালে সরকারীভাবে বেতনভুক্ত কর্মচারী কেন এমন অপরিস্কার থাকবে?
সরকার জনগনের জন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান করেছে,সকল ধরনের সহযোগীতা করছেন,পরিচালনার দায়িত্ব যাদেরকে দেওয়া হয়েছে তারা ঠিক মতন বা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে না।
নড়াইল জেলায় প্রতিনিয়ত মাদকদ্রব্য বৃদ্ধি পাচ্ছে যেমন-জেলার ভিতরে ডিবি পুলিশ প্রত্যেকদিন ধরছে ফেনসিডিল,মদ,ইয়াবাট্যাবলেট,গাঁজা, এদিকে খেলা হয় জুয়া হাজার টাকার বিনিময় চলে জুয়ার আসর,পুলিশ ভালো করে জানে তাদের আয়ত্বে বা থানার অধিনে কে কে জুয়াখেলে, মাদকের সাথে জড়িত প্রশাসনকে কঠিনভাবে নজরদারী দিতে হবে–সরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়কে।
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সোনার বাংলা স্বপ্নের বাংলা শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশকে আরো উন্নতি করতে হলে এসব দিক নজর দিতে হবে।চলমান বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাংলাদেশের জনগন সু-স্বাগতম জানিয়েছেন। অনেক অনেক উন্নয়ন সেই সাথে উন্নতির পরিমান আগের থেকে অনেক বেশি,তবে দূর্নীতির হার কমে নাই।
অসহায় আর বিপদগ্রস্ত লোক সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে যান তাদের মনের শক্তি নিয়ে, যাওয়ার পর দেখে ঘুষ বিহীন কোন কাজ হয় না।ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সরকারী বিভিন্ন খাবার সামগ্রিক পন্যসহ অনুদান বরাদ আছে বা দেওয়া হয়,সেখানে গরীব অসহায়ের খাবার অনুদান নামধারী ব্যাক্তিগন ভোগ করে।
সাধারন ভুক্তভুগীদের মাধ্যমে জানা যায়,হাসপাতাল হতে ঠিক মতন ঔষুধ দেওয়া হয় না,বাহিরের থেকে ক্রয় করতে হয়।হাসপাতালে সরকারীভাবে বেশি কয়েকটি টেষ্টের ব্যবস্থা আছে তবে হাসপাতালে টেষ্ট করে না,বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আর ফার্ম্মেসীতে পাঠিয়ে দেন। তাদের ভাষ্যমতে সবচেয়ে বেশি দূর্নীতির আড্ডা চলছে হাসপাতালে,ভুক্তভুগীরা এই দূর্নীতির থেকে পরিত্রান চান আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরাষ্ট্রমমন্ত্রী,স্বাহ্যমন্ত্রীর প্রতি আহব্বান ও দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।