বরগুনার আমতলীতে ৮ বছরের ১ শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রশিদ হাওলাদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা গ্রামের প্রথম শ্রেনীতে পড়–য়া ওই ভিকটিম কন্যা শিশুটি পার্শ্ববর্তী তার দাদার বাড়ীতে যায়। সন্ধ্যায় নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে পান বরজের সামনে এলে বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ ওই ভিকটিম শিশুর বাবা মাকে পান দেয়ার কথা বলে বরজের পাশে থাকা একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে যায়। ওই ঘরেই শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। শিশুটির ডাক চিৎকারে ধর্ষক বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ পালিয়ে যায়।
পরে শিশুটিকে স্থাণীয় ও স্বজনরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ধর্ষক বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ হাওলাদারকে আসামী করে ভিকটিম শিশুটির পিতা ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ওই রাতেই আব্দুর রশিদ হাওলাদারকে (৬৫) তার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধ আব্দুর রশিদকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ সুমন খন্দকার বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণ চেষ্টার আলামত পাওয়া গেছে। এসআই মোসাঃ নাসরিন সুলতানা বলেন, শিশুটির যৌনাঙ্গ রক্তাক্ত ও ক্ষত-বিক্ষত করার আলামত রয়েছে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ আলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত বৃদ্ধ আব্দুর রশিদ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম শিশুটির জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।