তৈয়বুর রহমান কিশোর, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের কেওয়াগ্রামে বাক্ প্রতিবন্ধী এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) সকালে
ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত মো. ইস্রাফিল
মোল্লা (২৪) ওই গ্রামের আ. রাশেদ মোল্লার ছেলে। বাক্ প্রতিবন্ধী ইস্রাফিল ‘বোবা’ নামে বেশি পরিচিত ও অবিবাহিত ছিলেন। ওই দিন সকাল অনুমানিক আটটার দিকে পাশের ময়না গ্রামের এনায়েত হোসেন মোল্লা ওরফে লেন্টুর ছেলে সেনা সদস্য মো. মামুন (৩০) মোটরসাইকেলে করে ইস্রাফিলকে বাড়ি থেকে ময়না বাজারে নিয়ে আসেন। বাজারের একটি চায়ের দোকানের বসে দুজনে চা-বিস্কুট খান। ঘন্টা খানেক অবস্থান করে আবার মোটরসাইকেলে চড়ে দুজন সেখান থেকে মামুনদের বাড়ির দিকে চলে যান। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে মামুনের বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরে একটি ডোবার পানিতে ইস্রাফিল
পড়ে গেছে এমন খবর পায় পরিবারের লোকজন। এরপর ময়না বাজারের এক গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইস্রাফিলকে
পায় বাড়ির লোকজন। সেখান থেকে বোয়ালমারী হাসপাতালে আনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার প্রস্তুতিকালে ইস্রাফিলের
মৃত্যু হয়। নিহতের চাচা সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার ভাতিজার মৃত্যু সন্দেহজনক। তাই আমরা ঘটনাটি নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. কেএম মাহমুদ রহমান জানান, হাসপাতালে আনার পর রোগী খুব অস্থির অবস্থায় ছিলেন।
পানিতে ডুবে যাওয়া রোগীর মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতায় এমন লক্ষণ দেখা যায়। ইস্রাফিলের ক্ষেত্রে এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তাঁর পরিস্থিতি খারাপ থাকায় আমরা তাঁকে দ্রুত ফরিদপুর স্থানান্তর করেছি। থানার উপপরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন জানান, নিহত ইস্রাফিলের
পানিতে পড়ার কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর নাক দিয়ে রক্ত পড়ার নমুনা পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হওয়া যাবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।