ঠাকুরগাঁওয়ে জিংক ধান বিস্তারে কৃষি অফিসারদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে হারভেষ্টপ্লাস ও গেইন (gain-Global Alliance for Improved Nutrition) বাংলাদেশ এর অর্থায়নে কমার্শিয়ালাইজেশন অব বায়োফর্টিফাইড ক্রপস (Commercialization of Biofortified Crops-CBC) প্রকল্পের আওতায় আরডিআরএস বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদ হল রুমে জিংক ধান বিস্তারে উপসহকারী কৃষি অফিসারদের দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ অদ্য ১৩ অক্টোবর ২০২১ আয়োজন করা হয়।
উক্ত প্রশিক্ষনে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষ্ণ রায় এবং কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন ও মারুফ হোসেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর কৃষি কর্মকর্তা রবিউল আলম বলেনজিঙ্কসমৃদ্ধ ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে আরডিআরএস বাংলাদেশ ২০১৩ সাল থেকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর সার্বিক সহযোগীতায় হারভেস্টপ্লাস এর সাথে বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে কমার্শিয়ালাইজেশন অব বায়োফর্টিফাইড ক্রপস প্রকল্পের মাধ্যমে মানসম্মত জিঙ্কসমৃদ্ধ ধানবীজের উৎস এবং কৃষকের উৎপাদিত ধান থেকে রাইসমিলার ও চাল ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সাধারন মানুষের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কার্যক্রমের পরিধি আরো গতিশীল করছে। এর ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের আওতায় চলতি বছরে ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫টি অটো রাইসমিলের মাধ্যমে ৩৫০ মেঃ টন ধান সংগ্রহ করে চাল উৎপাদন করা হয়।
এ সময় আমন্ত্রিত অতিথিরা বায়োফর্টিফাইড ক্রপস ও বায়োফর্টিফাইড ক্রপস এর উপযোগীতা সম্মন্ধে আলোকপাত করেন। বায়োফর্টিফাইড ক্রপস হিসেবে আগামী বোরো মৌসুমে চাষাবাদের জন্য অধিক ফলনশীল জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭৪ এবং জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ব্রিধান ৮৪ এর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষক পর্যায়ে আরো বেশী মনোযোগী হওয়ার জন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আহবান জানানোর পাশাপাশি জিংক ধান উৎপাদনের পাশাপাশি জিংক সমৃদ্ধ চাল ভোক্তার নিকট পৌছানোর জন্য সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন। এছাড়া জিংক ধান বানিজ্যিকীকরণে মার্কেট অ্যাক্টরদের ভ‚মিকা এবং আগামীতে আরো বেশী পরিমান জমিতে জিংকসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসহ সাধারন মানুষের কাছে জিংক সমৃদ্ধ ব্রিধান ৭৪ এবং জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ ব্রিধান ৮৪ এর উৎপাদনে আগ্রহ বৃদ্ধি কথা জানান।
তারা আরো বলেন, জিংক এমন একটি পুষ্টি উপাদান যার অভাবে বিভিন্ন রোগের লক্ষন প্রতিয়মান হয়, যেমন-ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া বাংলাদেশে ৪০% এর অধিক শিশু জিংকের অভাবে খাটো হচ্ছে এবং শিশুকালে ও বয়ঃসন্ধিকালে সুস্থ বৃদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক জিংকের ঘাটতি ৪-১২মিঃ গ্রাঃ। তাই মানুষের জিংকের অভাব পুরণে জিংক ধান উৎপাদন বৃদ্ধিতে সকলকে সহযোগীতা করার আহবান জানান। উক্ত প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ৩০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশ নেয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।