বিশ্বকাপ ভেন্যু ওমান ক্রিকেট স্টেডিয়াম ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে আরেকটি মাঠ। শুক্রবার দুপুরে সেই মাঠে দেখা গেল ইংল্যান্ড দলকে। বিশ্বকাপের প্রাথমিক পর্বে তাদের খেলতে হচ্ছে না, এই দেশেও তাদের কোনো ম্যাচ নেই। তবে বিশ্বকাপের আগে দিন দশেকের ক্যাম্পের জন্য তারা বেছে নিয়েছিল ওমানকেই। এখানে প্রথম দিনেই যাদের ম্যাচ, সেই বাংলাদেশ এ দিন ছিল বিশ্রামে। হোটেলে হালকা জিম-টিম করেই কেটেছে ক্রিকেটারদের সময়। আগের দিনই আবু ধাবিতে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে দল। তিন দিনের মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি কাটাতে বিশ্রাম প্রয়োজনীয়ই ছিল। বিশেষ করে, দুটি ম্যাচেই হারার পর মানসিক চোট যথেষ্টই থাকার কথা। হাবিবুল বাশার অবশ্য তেমন কোনো চোটের ছাপ দেখতে পাচ্ছেন না দলে।

দলের সঙ্গে থাকা এই নির্বাচক বললেন, প্রস্তুতিতে পরাজয় সঙ্গী হলেও মূল লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ। ম্যাচ অনুশীলনের শুরুটা অবশ্য ভালোই হয়েছিল বাংলাদেশের। ওমান ‘এ’ দলের বিপক্ষে দুইশ ছাড়ানো স্কোর গড়ে বড় ব্যবধানে জেতে দল। কিন্তু অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে দেখা যায় উল্টো চিত্র।

আবু ধাবিতে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হারতে হয় জয়ের মতো অবস্থায় থেকেও। পরের ম্যাচে হজম করতে হয় আরও বড় ধাক্কা। আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সেভাবে লড়াই জমাতেই পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু সাম্প্রতিক এই ব্যর্থতাকে পাত্তা না দিয়ে হাবিবুল ভরসা রাখছেন খানিকটা পেছনের সাফল্যে। তার মতে, দেশের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের বিশ্বাসই বিশ্বকাপে হবে দলের চালিকাশক্তি। “আমরা এর আগে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলে এসেছি দেশের মাঠে সিরিজে। দলও যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। প্রস্তুতি ম্যাচ প্রস্তুতি ম্যাচই, সেটা নিয়ে খুব বেশি বিচার করতে চাচ্ছি না। খুব বেশি ভাবনাও ভাবতে চাচ্ছি না।” “অবশ্যই আমাদের খুব ভালো ধারণা হয়ে গেছে, বিশ্বকাপে কীসের মুখোমুখি হতে পারি। কত বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারি। আমার মনে হয় আমরা প্রস্তুত। যখন প্রাথমিক রাউন্ডের খেলা শুরু হবে, সেরা পারফরম্যান্সটাই আমরা দেখাতে পারব বলে মনে করি।” প্রস্তুতি ম্যাচগুলোয় প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির ফারাকটা অবশ্য পুরোপুরি লুকালেন না তিনি। তবে দায় দিলেন তিনি সেরা ক্রিকেটারদের সবাইকে না পাওয়াকে। “প্রথম ম্যাচ যেটা খেললাম ওমানে, সব ভালো ছিল।

ব্যাটিং-বোলিং, দুটোই ভালো হয়েছিল। আবু ধাবির প্রস্তুতি ম্যাচে প্রত্যাশা অবশ্যই আরেকটু বেশি ছিল। যদিও প্র্যাকটিস ম্যাচ ছিল, কিছু জিনিস আমরা পরখ করে দেখেছি। আমাদের মূল একাদশ ছিল না। মুস্তাফিজ মাত্র আইপিএল থেকে ফিরল, সাকিবকে পাইনি, অধিনায়ক (মাহমুদউল্লাহ) কোনো ম্যাচ খেলতে পারেনি। সব মিলিয়ে মূল একাদশ পাইনি।”

“দেখার ছিল, বাকিরা সুযোগটা কেমন নিতে পারে। অবশ্যই আরেকটু ভালো আশা করেছিলাম। বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে। কারণ আবু ধাবির ব্যাটিং কন্ডিশন ভালো ছিল। সেখানে টপ অর্ডারে কারও বড় রান হলে ভালো হতো। এমনিতে দল হিসেবে আমার মনে হয় আমরা ভালো আছি। সবাই বেশ আত্মবিশ্বাসী। তবে অবশ্যই গা গরমের ম্যাচগুলি ভালো খেললে প্রস্তুতি আরেকটু ভালো হতো।”