প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় ভারতের কালিম্পং ও গ্যাংটক এলাকার মহাসড়কের কোনো কোনো জায়গা তিস্তার পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় সড়কে ধস নেমেছে। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংসহ ওই এলাকা। সোমবার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বুধবারও সকাল থেকে ওই এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে।
বুধবার সকালে নতুন করে দার্জিলিং জেলার ধোতরে, মানেভঞ্জন, রিমবিক, গোক, বিজনবাড়ি এলাকা থেকে ধসের খবর এসেছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। প্রবল বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে জলপাইগুড়ির বহু এলাকা। বহু জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকেছে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। এদিকে, পর্যটনের মৌসুমে এবার ব্যাপক ভিড় হয়েছে দার্জিলিংসহ পশ্চিমবঙ্গের ওই এলাকায়।
সেখানকার বাসিন্দা বা পর্যটকদের এলাকা না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার। বাগডোগরা থেকে বিমান চলাচলেও টানা বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে ৩৩টি বিমান আসা-যাওয়ার কথা ছিল।
১৯টি বিমানই খারাপ আবহাওয়ার জন্য বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, ধসের কারণে আপ এবং ডাউন টয় ট্রেন চলাচলেও বিঘ্ণ ঘটছে। দার্জিলিংগামী ট্রেন থামানো হয় রংটং স্টেশনে। শিলিগুড়িমুখী ট্রেন কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিংয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।