মৌসুমের শুরুটা ভালো না হলেও লিগে নিজেদের টানা শেষ চার ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলো জুভেন্টাস।ডার্বি ডি ইতালিয়াতে আরে একটি হারের শঙ্কায় ছিলো জুভেন্টাস, তবে শেষ পর্যন্ত দলের ত্রাণকর্তা হয়ে আসেন আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড পাওলো দিবালা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় আনেন দিবালা।

আগের ম্যাচে লাজিওর বিপক্ষে ৩-১ গোলে হারা ইন্টার মিলান নিজেদের মাঠে ম্যাচের মাত্র ১৭ তম মিনিটেই জেকোর করা গোলে এগিয়ে যায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে হাকান কালহানোগলুর জোরালো শট পোস্টে লাগার পর ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে ভলিতে ফাঁকা জালে বল পাঠান অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড জেকো।

বিরতির আগে ভালো একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন জুভেন্টাসের ফরওয়ার্ড কুয়াদরাদো। তার নেওয়া শট পোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। যদিও সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিলো দিবালাদের সামনে। আলভারো মোরাতার নেওয়া শট দারুন দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ইন্টার মিলান গোলকিপার সামির হান্দানোভিচ। বিরতি থেকে ফিরেই ইন্টারের গোলমুখে একের পর এক আক্রমন করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না মোরাতা-কুয়াদরাদোরা।

৬৫তম মিনিটে কুয়াদরাদোর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন আর্জেন্টাইন ফরওয়ার্ড দিবালা। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ডি-বক্সে সান্দ্রো ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এবং সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে আরো একটি হার থেকে রক্ষা করেন আর্জেন্টাইন তারকা দিবালা। পেনাল্টির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাল কার্ড দেখেন ইন্টার মিলান কোচ সিমোনে ইনজাগি। পুরো ম্যাচে ৫২ শতাংশ সময় বল ছিলো জুভেন্টাসের দখলে।

প্রতিপক্ষের গোলবারে ১৬ টি নেওয়া শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিলো চারটি। অন্যদিকে জুভেন্টাসের গোলপোষ্টে ১০ বার শট নিলেও ইন্টার মিলানের খেলোয়াড়রা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছিলো মাত্র দুটি শট।

৯ ম্যাচে চার জয় ও তিন ড্রয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে আছে জুভেন্টাস। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ৯ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে এসি মিলান এবং শীর্ষে নাপোলি।