দুর্গাপূজা চলাকালে দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর বিচারিক হাকিমকে (সিএমএম/সিজেএম) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ৬০ দিনের মধ্যে এ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত রুল জারি করেছেন। রুলে এসব হামলায় হিন্দুদের দুর্গাপূজা প্যান্ডেল, মন্দির, বাড়ী, জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা  কেন অবৈধ হবে না এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জীবন, উপাসনালয় এবং সম্পতি রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, ধর্ম সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, সংশ্লিষ্ট ছয়টি জেলার ডিসি ও এসপিসহ ২১ জন বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, রিট আবেদনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় রাষ্ট্রের ব্যর্থতা ও স্থানীয় প্রশাসনকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে। আমরা আবেদন থেকে এই শব্দগুলো প্রত্যাহারের দাবি জানাই। কারণ হামলার ঘটনায় রাষ্ট্র বসে নেই। কুমিল্লা, রংপুরে অনেক দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

অন্যদিকে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, এসব হামলার সময় স্থানীয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েও পায়নি ভুক্তভোগীরা। সংবিধানে দেশের সকল নাগরিকের জীবন সম্পত্তি, চলাফেরা ও নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশানের ব্যর্থতায় হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ভাংচুর, অগ্নিসেংযোগ, মন্দিরে ভাংচুর চালানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার সাহা ও মিন্টু চন্দ্র দাশ গত ২১ অক্টোবর এ রিট করেন।