১৯৪২ সালে জার্মানিতে বিশ্বের প্রথম সার্ভিল্যান্স সিকিউরিটি সিস্টেম বা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছিলো। বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে এক বিলিয়ন সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। প্রথম সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পর মাত্র ৭৯ বছরেই এ বিশাল পরিবর্তন।
সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ভারত ও চীন। বিশ্বের ১৩০ টি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে কত সংখ্যক সিসিটিভির ক্যামেরা আছে তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে সার্ফশার্ক। সিসি ক্যামেরায় নজরদারিতে শীর্ষ ১০টি শহরের চিত্র তুলে ধরা হলো।
সিসি ক্যামেরা স্থাপনে শীর্ষস্থানে রয়েছে ভারতের চেন্নাই শহর। প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে ৬৫৭ টি এবং জনসংখ্যা হিসেবে প্রতি ৪০ জনে একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে শহরটিতে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা হায়দরাবাদে প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে ৪৮০টি এবং প্রতি ৩৪ জনে একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
তৃতীয় স্থানে আছে চীনের হারবিন শহর, যেখানে প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে ৪১১ টি এবং প্রতি ২৫ জনে একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
চতুর্থ স্থানে থাকা ইংল্যান্ডের লন্ডন শহরে প্রতি স্কয়ার কিলোমিটারে ৩৯৯ টি এবং জনসংখ্যা হিসেবে প্রতি ১৫ জনে একটি সিসি ক্যামেরা আছে।
এরপর আছে যথাক্রমে শীমেন-চায়না, চেংডু-চায়না, তাইয়ুন-চায়না, দিল্লি-ভারত, কুনমিং-চায়না, বেইজিং-চায়না। শীর্ষ দশের মধ্যে লন্ডনই কেবল এশিয়ার বাইরের শহর।
বাকী ৯টির মধ্যে ৬ টি শহরেই চায়নার এবং তিনটি ভারতের। এ তালিকায় দশম স্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ১.১ মিলিয়ন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
যদিও অধিকাংশ সিসিটিভি ক্যামেরা ফেসিয়াল রিকগনিশন বা চেহারা শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে না। তবে চায়না ফেসিয়াল রিকনিশন প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়েছে এবং ১.৩ বিলিয়ন ছবির ডাটাবেজ তৈরি করেছে যা কয়েক সেকেন্ডেই সিসিটিভি দিয়ে অপরাধী বা যেকোনো ব্যক্তিকে শনাক্ত করে ফেলতে পারে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।