পায়ের পেশির চোটের কারণে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে খেলতে পারেননি লিওনেল মেসি। তবে পিএসজির ম্যাচটি চলার সময়ই আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি দলের সেরা তারকাকে রেখেই আসছে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছেন।
আগামী সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের বিরতিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। বাংলাদেশ সময় আগামী ১৩ নভেম্বর উরুগুয়ের মাঠে খেলবে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এর চার দিন পর তারা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলবে ঘরের মাঠে।
ম্যাচ দুটির জন্য দলে অনেক পরিবর্তন এনেছেন স্কালোনি। ৩৪ সদস্যের দলে জায়গা পেয়েছেন সাত সম্ভাবনাময় তরুণ খেলোয়াড়; থিয়াগো আলমাদা (ভেলেস), সান্তিয়াগো সিমোন (রিভার প্লেট), এসেকিয়েল সেবাইয়োস (বোকা জুনিয়র্স), ক্রিস্তিয়ান মেদিনা (বোকা জুনিয়র্স), মাতিয়াস সুলে (ইউভেন্তুস), গাস্তোন আভিলা (রোজারিও সেন্ত্রাল), ফেদেরিকো গোমেজ (রিভার প্লেট)।
আক্রমণভাগে অবশ্য নিয়মিত মুখদেরই রেখেছেন কোচ। মেসির সঙ্গে আছেন লাউতারো মার্তিনেস, পাওলো দিবালা, আনহেল কোররেয়া।
মেসিকে কোচ স্কোয়াডে রাখলেও তাকে নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা আছে। বেশ কিছুদিন ধরেই পেশির সমস্যায় ভুগছেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
গত শুক্রবার পিএসজির হয়ে লিগ ওয়ানে লিলের বিপক্ষে ম্যাচে তার খেলা নিয়ে শুরুতে শঙ্কা জেগেছিল। তবে পরে ঠিকই শুরুর একাদশে মাঠে নামেন তিনি। কিন্তু বিরতির পর আর খেলেননি। প্রথমার্ধ শেষে তাকে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে বের হতে দেখা যায়। এরপর ছিটকে যান লাইপজিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচ থেকে।
ক্লাবের পক্ষ থেকে অবশ্য তার চোট তেমন গুরুতর নয় বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। স্কালোনি হয়তো সেই আশাতেই তাকে দলে রেখেছেন।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এখন পর্যন্ত ১১ ম্যাচে সাত জয় ও চার ড্রয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ব্রাজিল।
আর্জেন্টিনা দল:
গোলরক্ষক: ফ্রাঙ্কো আরমানি (রিভার প্লেট) এমিলিয়ানো মার্তিনেস (অ্যাস্টন ভিলা), হুয়ান মুস্সো (আতালান্তা),
ডিফেন্ডার: গনসালো মনতিয়েল (সেভিয়া), নাউয়েল মোলিনা (উদিনেজে), লুকাস মার্তিনেস কুয়ার্তা (ফিওরেন্তিনা), হেরমান পেস্সেইয়া (রিয়াল বেতিস), নিকোলাস ওতামেন্দি (বেনফিকা), ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (টটেনহ্যাম হটস্পার), লিসান্দ্রো মার্তিনেস (আয়াক্স), নিকোলাস তাগলিয়াফিকো (আয়াক্স), গাস্তোন আভিলা (রোজারিও সেন্ত্রাল)
মিডফিল্ডার: মার্কোস আকুনা (সেভিয়া), লেয়ান্দ্রো পারেদেস (পিএসজি), গিদো রদ্রিগেস (রিয়াল বেতিস), নিকোলাস দোমিনগেস (বোলোনিয়া), রদ্রিগো দে পল (আতলেতিকো মাদ্রিদ), এসেকিয়েল পালাসিওস (বায়ার লেভারকুজেন), জিওভানি লো সেলসো (টটেনহ্যাম হটস্পার), আনহেল দি মারিয়া (পিএসজি), থিয়াগো আলমাদা (ভেলেস), ক্রিস্তিয়ান মেদিনা (বোকা জুনিয়র্স), মাতিয়াস সুলে (ইউভেন্তুস)
ফরোয়ার্ড: লিওনেল মেসি (পিএসজি), নিকোলাস গনসালেস (ফিওরেন্তিনা), হোয়াকিন কোররেয়া (লাৎসিও), লাউতারো মার্তিনেস (ইন্টার মিলান), আনহেল কোররেয়া (আতলেতিকো মাদ্রিদ), পাওলো দিবালা (ইউভেন্তুস), হুলিয়ান আলভারেস (রিভার প্লেট), সান্তিয়াগো সিমোন (রিভার প্লেট), এসেকিয়েল সেবাইয়োস (বোকা জুনিয়র্স), ফেদেরিকো গোমেজ (রিভার প্লেট)
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।