স্ট্রোক সমস্যাটিকে ভয় পান না এমন মানুষ খুব কমই মিলবে। আর এটি ভয় পাওয়ার মতোই একটি বিষয়। কারণ এটি হলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হওয়া ছাড়াও মৃত্যুর ঝুঁকিও থাকে অনেক বেশি। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে স্ট্রোক হয়। অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্কে না পৌঁছলে মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে এবং এর ফলে স্থায়ীভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে।

তবে স্ট্রোক হলে তার বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এবং চিকিৎসা নিলে অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়া যায়। কিন্তু অবাক করা বিষয় এই যে, অনেকে বুঝতেই পারেন না স্ট্রোক হয়েছে কিনা। এ কারণে স্ট্রোক হলেও অনেকে সেটিকে সাধারণ অসুস্থতা ভাবেন। যার কারণে স্ট্রোকের যে ধরনের চিকিৎসা নেওয়া দরকার সেটি নেওয়া হয় না। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়াতে সবারই জানা উচিত স্ট্রোকের সাধারণ লক্ষণগুলো। আজ জানুন যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন ব্রেইন স্ট্রোক—

১. ভারসাম্য হারানো স্ট্রোক হলে ভারসাম্য হারানোর মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাদের স্ট্রোক হয় তারা প্রায়ই ভারসাম্য হারানো বা মাথা ঘোরা অথবা মাথা ভারী হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় তারা কিছু ধরে রাখা বা বসে পড়ার মতো প্রবণতা রাখেন।

. চোখের সমস্যা স্ট্রোক হওয়ার পর অনেকেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা চোখের সমস্যা হওয়ার অভিযোগ করেন। এমটি হলে অনেকেই বিভিন্ন সমস্যা দায়ী করতে পারেন যেমন, খুব বেশি রোদে হাঁটা বা শরীরে পানি কমে যাওয়া। তাই এ ধরনের সমস্যা হলে সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।

৩. মুখ ঝুলে পড়া বা অবস স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে মুখের অর্ধেক অংশ (বিশেষ করে মুখের এক পাশের নিচের অর্ধেক) নিচু হয়ে যাওয়া বা ঝুলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এমনটি হলে কথা বলার সময় মনে হবে মুখের একপাশ অবস হয়ে আছে। এমনটি হলে দ্রুতই চিকিৎসা নিতে হবে।

৪. বাহু দুর্বলতা স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাহু দুর্বল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে। এমনটি হয়ে থাকলে কোনো কিছু ধরার চেষ্টা করলে হাত থেকে জিনিস পড়ে যাওয়ার মতো দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। বেশিরভাগ সময় স্ট্রোক হওয়ার পরে রোগী যেদিকে পড়ে যায় সেদিকেই আক্রান্ত হয়। এর কারণ হচ্ছে স্ট্রোক হলে শরীরের পেশিগুলো অবশ হয়ে যায় এবং শরীরের ওজন ধরে রাখতে না পেরে পড়ে যায়।

৫. কথা বলায় সমস্যা স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে (বিশেষত যদি স্ট্রোকটি মস্তিষ্কের বাম দিকে হয়) কথা বলার সমস্যা দেখা দেবে। রোগী তাদের সামনে কারও সঙ্গে কথা বলার সময় এটি প্রথম লক্ষ্য করা যায়। এ সময় রোগী নীরব ও বিভ্রান্ত হতে পারে। একটি শব্দ পুনরাবৃত্তি করতে পারে, অথবা বক্তৃতা অস্পষ্ট বা এমনকি অপ্রাসঙ্গিক কথা বলতে পারে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া