মোঃরিয়াদ গাজী, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি এলাকায় দুবিত্তরা এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বতসঘর ভাংচুর, লুটপাট ও দখল চেস্টার প্রতিবাদে কালোব্যাজ ধারণ করে মানববন্ধন করেছেন। রবিবার ঝালকাঠি-বরিশাল মহাসড়কের নৈকাঠি এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচির আয়োজন করে এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজাপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস মো. নাসির উদ্দিন জুয়েল তালুকদার, উপজেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি নাজনিন পাখি, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহনাজ লিপি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো. করিম সিকদার, সমাজ সেবক মো. আনোয়ার হোসেন মিলন, মো. তহিদুজ্জামান শাহিন,ও ক্ষতিগ্রস্থ রুমিছা আক্তারসহ অনেকে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,
১৯৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধী হামেদ জমাদ্দারের নাতনী চন্দিমা রুমি, রাজাপুর সদর ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমি মুন্নির সহায়তায় দিনের বেলা ভাড়া করা লোকজন নিয়ে প্রকাশে দেশীও অস্ত্র নিয়ে সবাইকে বেধে রেখে শহিদুলের বসতঘর ভাংচুর করে মালামাল লুট করে পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলেও পুলিশ অপরাধিদের পক্ষ নিয়ে লুটের মামলার পরিবর্তে একটি চুরির মামলা রেকর্ড করেছে।
তারা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করে পুনরায় মামলা লুটে মামলা রেকর্ড করে অপরাধিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন বক্তারা। মানববন্ধনে এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। উল্লেখ্য,
৪ নভেম্বর সকালে রাজাকার হামিদ জোমাদ্দারের নাতনী চন্দ্রিমা রিমু ও ইউপি সদস্য নাজমা ইয়াসমিন মুন্নিসহ ৩০-৩৫ জনের একটি দল মুক্তিযোদ্ধা এসকেন্দর আলী হাওলাদারের ছেলে সহিদুল ইসলামের স্ত্রী রুমিছা বেগম এবং শাশুরী মাজেদা বেগমকে বেধে রেখে বসতঘর ভাংচুর, মালামাল লুট ও জমি দখলের চেস্টা করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।