অয়ন সরকার,ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি:জীবনটা গতিময়, গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। বর্তমানে শুধু একটি পেশা দিয়ে সংসার চলানো খুবই কঠিন। নার্সারি করার মাধ্যমে আমার ইচ্ছা হলো নিজের গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষির ওপর একটি বিরাট দৃষ্টান্তমূলক অনুকরণ রেখে যাবো।

উপরোক্ত কথাটি বলেছেন ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের নবদ্বীপ মল্লিক ।

পারিবারিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকার কারণে কৃষি কাজের পাশাপাশি তিনি ২০১৮ সালে চুই ঝাল এর ব্যবসা শুরু করেন। যার মাধ্যমে তিনি লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন। নবদ্বীপ মল্লিক বলেন কিছুদিন পর সে ভেবে দেখে যে শুধুমাত্র চুই ঝালের গাছ দ্বারা একটি নার্সারি পরিচালনা করা যায়না। তাই তিনি ভেবে চিন্তে নতুন কাজ করার জন্য নার্সারি প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেন। বারসিক’র কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে তিনি নার্সারি করার নানান তথ্য সংগ্রহ করেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে তিনি ফিরে এসে বাড়িতে নার্সারি শুরু করেন। প্রথম পর্যায়ে পাঁচ বিঘা জমির মাধ্যমে তিনি নার্সারি শুরু করেন। বিভিন্ন ধরনের ফুল,ফল,এবং কৃষিজ চারা উৎপাদনের মাধ্যমে তিনি নার্সারি পরিচালনা করতে থাকেন। প্রথম প্রথম লাভের মুখ না দেখতে পারলেও তার একাগ্র প্রচেষ্টা এবং ধৈর্যের সাথে এখন তিনি একজন সফল নার্সারি ব্যবসায়ী। দূর দুরান্ত থেকে মানুষ তার নার্সারিতে আসে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা ক্রয় করার জন্য। প্রতিনিয়ত শত শত ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের যাতায়াত দেখা যায় নবদ্বীপ মল্লিকের নার্সারিতে।

সুবিশাল নার্সারিতে খুলনার বিখ্যাত চুই ঝাল সহ ড্রাগন ফল,পেয়ারা,আম এবং বিভিন্ন ধরনের ফুলে ও ফলপর চারা দেখা যায়। নবদ্বীপ মল্লিক আরও বলেন, তিনি কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চারাগুলো ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেন। তিনি আশা করেন খুব শীঘ্রই নার্সারির মাধ্যমে তিনি বিশাল এক লাভের অংশীদার হয়ে উঠবেন। এমনকি তার নার্সারিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন এলাকার কিছু সংখ্যক মানুষ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, নার্সারি করার জন্য নবদ্বীপ মল্লিক কে তারা যথাযত ভাবে সাহায্য করবেন। প্রয়োজনে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণ,প্রদর্শনী এবং মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ দিয়ে থাকবেন। যাতে করে নবদ্বীপ মল্লিককে দেখে আরো বেকার সমাজ উদ্বুদ্ধ হয়।