বিশ্বব্যাপী চলমান করোনা মহামারির মধ্যে নিত্যপণ্য ক্রয়ে ব্যয় বাড়লেও আয় বাড়েনি ভোক্তাদের। এ সঙ্কটে বেকার হয়েছেন অনেকেই। বেসরকারি চাকরিজীবীদের অনেকের বেতন কমেছে।
ফলে এক সময়ের মাছে-ভাতে বাঙালি আজ ডাল-ভাতের খরচ জোগাতেও হিমশিম খাচ্ছেন। গত দেড় বছরে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যেরই দাম বেড়েছে। এতে পিষ্ট হচ্ছেন ভোক্তারা। অন্যদিকে সম্প্রতি সরকার এলপি গ্যাস, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানোয় বেড়েছে পরিবহন ভাড়া।
ফলে জীবন যাত্রার ব্যয়ও আরেক দফা বাড়ছে। এতে অর্থনীতির সব খাতেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কয়েকটি পণ্যের দাম বেড়েছে। তাই কিছু পণ্যের দাম বৃদ্ধি স্বাভাবিক।
কিন্তু দেশে উৎপাদিত পণ্যের দাম বৃদ্ধি ভালো লক্ষণ নয়। যারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন। গত বছরে ৮ মার্চ বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে করোনা ঘোষণা করা হয়। এর আগেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছিল। তবে সংক্রমণের পর থেকে বেড়েছে বেশি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।