মোঃ তাহেরুল ইসলাম, ডোমার নীলফামারী প্রতিনিধি : বছরের প্রতিটি দিন কোন না কোন কাজেই ব্যস্ততা লেগে আছে প্রতিটি কৃষকের। দৈনন্দিত জীবনে কাজ আর কাজ। বর্তমানে চলছে আমন ধান ঘরে তোলার মৌসুম। আগাম রবিশস্য চাষ করতে ধান সংগ্রহে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষক কৃষাণীদের বেড়েছে কর্ম ব্যস্ততা।
উপজেলায় ফসলের মাঠে দুলছে সোনালী ধানে কৃষকের বুকভরা স্বপ্ন। কৃষক কৃষাণী দ্রুত ক্ষেতের ধান ঘরে তুলতে সকাল থেকে গোধূলী পর্যন্ত মাঠেই কাজ করছে। ধান কাটা থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত পরিবার পরিজনদের নিয়ে কাজ করছে তারা। কেউবা চুক্তিতে আবার কেউবা দৈনিক মুজুরীর মাধ্যমে শ্রমিক দিয়ে মাঠের ধান সংগ্রহ করছে।
আগামী এক সপ্তাহে আবহাওয়া ভালো থাকলে ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে বলে আলাপ চারিতায় জানান কৃষকরা।বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের কৃষক তরিকুল ইসলাম জানান, এবারে আমনের ভালো ফলন হয়েছে। পোকার আক্রমণে ধানের কিছুটা ক্ষতি হলেও দাম ভালো থাকায় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে। ডোমার ইউনিয়নের কৃষক মোঃ দুলাল বলেন, ধানের শীষ বের হওয়ার মূহূর্তে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ দেখা দেয়।
কীটনাশক ব্যবহারে পোকার আক্রমণ কিছুটা দমন ধরেছে। অন্যন্য বছরের তুলনায় এবারে ফলন ভালো হয়েছে, বাজারে ধানের দামও ভালো। সোনারায় ইউনিয়নের কৃষক মজিবুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবারে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বর্তমান বাজারেও দাম ভালো চলছে। বর্তমান যে দর চলছে ইহা চলমান থাকলে, উৎপাদন খরচ বাদে লাভের প্রত্যাশা করছি।
গোমনাতী ইউনিয়নের কৃষক নিতাই চন্দ্র রায় ও হরিণচড়া ইউনিয়নের কৃষক আলমগীর হোসেন জানান, এবারে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। কোনমতে ধান ঘরে তুলতে পারলেই আমরা খুশি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান জানান, এবারে উপজেলায় ১৮ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭০ শতাংশ ধান কৃষকরা ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে মাঠের সম্পূর্ন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।