ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফাল্গুনী শপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পাভেল হোসেনসহ তিন জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া মোছা. ফারজানা আক্তার মিম নামে এক নারীর রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
খিলগাঁও থানার আদালতের সাধারণ শাখা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
রিমান্ডে যাওয়া অপর দুই আসামি হলো মো. সাইদুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল হাসান।
এদের মধ্যে অনলাইনে পণ্য বেচার নামে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় পাভেল হোসেনের দুই দিন এবং অপর দুই আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া অস্ত্র আইনের মামলায় একমাত্র আসামি পাভেলের আরও দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই মিল্টন কুমার দেবরাজ চার আসামিকে আদালতে হাজির করে। প্রতারণার মামলায় চার আসামির সাত দিন এবং অস্ত্র মামলায় পাভেলের আরও সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তিন আসামির রিমান্ড এবং একজনের রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ২৪ নভেম্বর বনশ্রী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলি, মদ ও ওয়্যারহাউজ থেকে নানান পণ্য জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, গত মে মাসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) পাভেল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছিল। জামিনে মুক্ত হয়ে ফের প্রতারণা শুরু করে। অভিযোগ রয়েছে, শতাধিক গ্রাহককে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। কিছু ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার বিকেল পাঁচটা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি দল রাজধানীর খিলগাঁও থানার বনশ্রী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।