সুজিত কুমার দত্ত, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের সংক্ষিপ্ত বিবরন দেন কে,এ, জামান ( খোন্দকার আলীমুজ্জামান)। যুদ্ধ কালীন কমান্ডার ও যুদ্ধাহত মুক্তি যোদ্ধা ডি কোম্পানি ৮ নং সেক্টর, ভারতীয় তালিকা নং- ৪৩৮৮।

 

তিনি সাবেক নগরকান্দার উপজেলার ভাওয়াল গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। বর্তমান এই বীর মুক্তিযোদ্ধার ঠিকানাগ্রামঃ ভাওয়াল, ডাকঘর + উপজেলাঃ সালথা সাবেক উপজেলাঃ নগরকান্দা, জেলাঃ ফরিদপুর।তিনি ১৯৭১ সালে ২০ শে জুন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য ভারতে যান। ২৫ শে জুন ভারতের মধ্যে ৯ নং সেক্টরে মেজর এম.এ. জলিলের অধীনে টকিপুর ক্যাম্পে ভর্তি হন এবং ৩ এ জুন উচ্চ প্রশিক্ষণের জন্য চাকুলিয়া, বিহার রওনা হয়ে পাঠানো হয় । ১ লা জুলাই হতে ৩০ শে জুলাই পর্যন্ত গেরিলা ট্রেনিং গ্রহন করেন । রাইফেল এস.এল.আর, স্টেটগান, এল.এম.জি দুই ইঞ্চি মর্টার, এইচ.ই ৩৬ হ্যান্ড গ্রেনেড, বিভিন্ন প্রকারের মাইন ও বিস্ফোরক ও গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১লা আগস্ট ৮ নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার অধীনে বয়রা আম বাগানে পৌছান। ৩ রা আগস্ট হতে ৮ই ডিসেম্বর পর্যন্ত বয়রা ক্যাম্পে থাকেনন এই সময় তিঁনি যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা থানার অন্তর্গত গরীবপুর, দশতিনা, ছুটিপুর, পাল্লা, আজমপুর, গোয়ালহাটি আরও অনেক জায়গায় পাক সেনাদের সাথে সমুখ ও গেরিলা যুদ্ধ করিয়াছেন এবং ফরিদপুরের বালিয়া কান্দি থানা অপারেশন করেনন । ঐদিন বিহারি ওহেদ খান, ওহেদ খানের ছেলে অহেদ খান, সামাদ খান, সামাদ খানের স্ত্রী ও একজন রাজাকার মারা যান এবং কিছু দারোগা পুলিশ আত্মসমর্পণ করে। কিছুদিনের জন্য বালিয়াকান্দির ঢোলজানি গ্রামে ইউপি চেয়ারম্যান উপেন বাবুর বাড়িতে অস্থায়ী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্প করেন। কালুখালি- মধুখালি রেল লাইনের তেতুলিয়া গ্রামের অংশের ২ মাইল রেল লাইন উপড়ে ফেলে খাল তৈরি করেছি এবং ১৬ ই আগস্ট যশোর জেলার চৌগাছা থানাধীন গরিবপুর গ্রামে পাক সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে গ্রেনেডের টুকরা লেগে আহত হন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা । ভারতে ও বাংলাদেশে চিকিৎসা হয়েছেনন ৷ ভারত থেকে উনার নামে ইস্যুকৃত রাশিয়ান এল.এম.জি. এ – ২২০৪ হালকা মেশিন গানটি ১৯৭১ সালে ২০ শে ডিসেম্বর ফরিদপুর সার্কিট হাউজে মালেশিয়া ক্যাম্পের কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছিলেন। ভারত সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের সকল তালিকা, সকল সনদপত্র,, ও সকল গেজেটভুক্ত। তিনি দশজন মুক্তিযোদ্ধা দলের ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন।

তাঁর মুক্তিযুদ্ধের তালিকা গুলো হল

১| ভারতীয় তালিকা নং – ৪৩৮৮

২| ভারতীয় তালিকা ই.বি.আর.সি নং – ২৯৪১

৩| মুক্তি বার্তা নং- ০১০৮০৮০৪০৮

৪| যুদ্ধাহত গেজেট নং- ১৭৫১

৫| বেসামরিক গেজেট নং – ২০৮১

৬| ১৯৮৭ সালের জাতীয় তালিকা নং- ২০৪

৭| ভোটার তালিকা নং – ২৯-৬২-১৬-০০৫

৮| ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের সর্বধিনায়ক মুহাম্মদ আতাউর গনি উসমানি সনদ নং- এফ ৬০, ২৯৩

৯| মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ (বাঃমুঃসঃ) সনদ নং- ০৩৭৩৮ তারিখ ২৮/১১/১৯৯৮ ইং

১০| বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে সামরিক সনদপত্র নং- ম৪৭২৬ তারিখ ০১/১০/২০০০ ইং তাঁর ২ ছেলে ও ৩ মেয়ে। বড়ছেলে খোন্দকার সাহীদুজ্জামান ও ছোটছেলে খোন্দকার সুমন এবং মেয়েরা হলেন হেমা মনি, শেফা মনি, রুমা খন্দকার।