তৈয়বুর রহমান কিশোর,বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: আগামি ২৬ ডিসেম্বর নির্বাচনকে ঘিরে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০ ইউনিয়নে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় মুখর হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিভিন্ন গানের মাধ্যমে যার যার প্রতিকের প্রার্থীদের মাইক বাজিয়ে প্রচার প্রচারনা চালানো হচ্ছে। গ্রাম, বাজার, পাড়া, মহল্লায় নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে ভোট চাইতে ছুটেছেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা। প্রার্থীদের সমর্থকরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে ভোটারদের বাড়িতে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটারদের দিচ্ছে নানা প্রতিশ্রুতি। বিকেল হলেই জমে উঠছে পাড়া মহল্লা ও বাজারের চায়ের দোকানগুলো। এই উপজেলায় ১০ ইউনিয়নে মোট ৪৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের চাপে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়েছেন নৌকার প্রার্থীরা।
 কোনঠাসা সম্পর্কে সচেতন মহল বলছেন, এ বছরের নির্বাচনে হেভিওয়েড প্রার্থীরা আ’লীগের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ায় এমনটা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি গ্রামে দুইটি দল রয়েছে। তাদের গ্রাম্য দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। তারা কোন প্রতিক দেখছেন না।
উপজেলা প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থায় প্রতিটি প্রার্থীই কোন বাধা সমস্যা ছাড়াই প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। কোন এলাকায় ছোট খাটো সমস্যা সৃষ্টি হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নিচ্ছেন প্রশাসন। কে কোন দলের প্রার্থী সেটা না দেখছেন না প্রশাসন। যে অপরাধ করছেন তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এ কারণে প্রার্থীরা এবং সচেতন মহল ধন্যবাদ জানায় প্রশাসনকে।
দাদপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র ঘোড়া প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি সুন্দর ভাবে ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারছি। কোন প্রার্থীই প্রভাব খাটিয়ে বাধা সৃষ্টি করতে পারছে না। মানুষ যদি আমাকে ভালো বেসে থাকেন তা হলে আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করবেন। আমি গত ৫বছর চেয়ারম্যান ছিলাম এবং সতত্যার সাথে মানুষের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করেছি। অসহায় ও গরীবদের মাঝে সরকারী অনুদান সঠিক ভাবে বিতরণ করেছি। করোনাকালিন সময় সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজের অর্থায়নে ইউনিয়নের হাজার হাজার লোকদের সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আমি এ বছর অনেক ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবো আশা করছি।
রুপাপাত ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, আমি এই ইউনিয়ন থেকে কয়েকবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ইউনিয়ন বাসিদের সেবা করেছে। আশা করি এ বছরও ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন।