দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী নিহত। অপর দিকে আহত হয়েছেন অন্তত ২ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
বুধবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধার পরে শহরের দূরামারী মসজিদের সামনে রুহিয়া সড়কে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মেহেদী হাসান (১৬) রুহিয়া থানার সেনিহাড়ি গ্রামের বিজিবি’র অবসর প্রাপ্ত সদস্য আব্দুল মালেকের ছেলে, সে লেখাপড়ার কারণে নানার বাড়ি পরিষদপাড়ায় থাকতো। অপরদিকে আহতরা হলেন ৮ম শ্রেণির ছাত্র আরমান (১৪) শহরের পরিষদ পাড়া মহল্লার জুয়েল ইসলামের ছেলে এবং গালিফ হোসেন (১৭) একই এলাকার সারওয়ার আলমের ছেলে। তারা সকলেই ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৮টার দিকে কিশোর বয়সী কিছু ছেলেদের চিৎকার শুনা যাচ্ছিল, এমন সময় শুনতে পেয়ে বাজারের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকি’ৎসক ডা. সাবরিনা রহমান ইভা মেহেদিকে মৃত ঘোষনা করে।
মেহেদির মামা আমজাদ হোসেন বলেন, সন্ধ্যায় কেউ একজন মেহেদিকে ডেকে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারনা এবং অনেকেই মনে করছেন এই ঘটনার সাথে রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী এক নেতা জড়িত থাকতে পারে।
পুলিশ বলছে কে বা কারা জড়িত, তা এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কেন ঘটিয়েছে ? তবে পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
জেলা প্রশাসক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন দুটি ছেলে মটর সাইকেলে ছিল বা বিসিকের সামনে বসেছিল। তারপরে কারো সাথে কথা কাটিকাটি হতে থাকে, এর এক পর্যায় ছুরি মারা হয়েছে বলে জানা যায়। ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে, যদি শনাক্ত করা যায়, তাহলে যে কেউ হউক না কেন তাদের গ্রেফতার করা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।