কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ অহিদুজ্জামান মিন্টু নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রতিদিন সকাল হতে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার হাট-বাজারে, মাঠে-ঘাটে, পাড়া-মহল্লার মানুষের সাথে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করার পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ করে ব্যাপক নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এলাকাবাসির স্বপ্ন পুরণে ও তাদের সুখে-দঃখে পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখে বুধবার সন্ধায় নির্বাচনী এলাকার মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করার পাশাপাশি স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, গুনীজন, শিক্ষক, ইমাম, ব্যবসায়ী সহ সকল স্তরের মানুষের সাথে মতবিনিময়, গণসংযোগ ও দোয়া প্রার্থনা করে চলেছেন।
ইউনিয়নের আমজেদ হোসেন, জাফরসহ একাধিক ভোটার জানান, চেয়ারম্যান পদে অহিদুজ্জামান মিন্টু একজন সৎ, নির্ভিক ও যোগ্য প্রার্থী হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায়, পথে-ঘাটে চায়ের দোকানে আলোচনায় শীর্ষে রয়েছেন। আওয়ামীলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। ছাত্র জীবন থেকে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হওয়ায় রাজনীতির ময়দান ও তৃণমূলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদের আস্থা অর্জন করার পাশাপাশি ছাত্র ও যুব সমাজের মাঝেও তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তিনি অত্র ইউনিয়নের গরিব দূঃখী,বয়স্ক, বিধবা মহিলা ও অসহায় মানুষের পাশে থেকে বিভিন্ন সামাজিক মানবতার সেবক হিসেবে জনকল্যানে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে মানুষের সুখে দুঃখে যে কোনো অবস্থায় সব সময় মানুষের জন্য তার সহযোগিতার দরজা খোলা থাকবে। তার মতো ত্যাগী, পরিচ্ছন্ন, সুন্দর মনের অধিকারী হওয়ায় সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবে। মানুষের ভালবাসা নিয়ে নির্বাচনে আমাদের বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়যুক্ত হবে বলে আমরা শতভাগ বিশ্বাস করি।
ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার বলেন, উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে ইউনিয়নের সকল স্তরের মানুষের মন জয় করে জনগনের অভিভাবক বা আদর্শ নেতা হয়ে উঠেছেন। এই মানুষটি রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ড ও কর্মগুণে একজন ভালো নেতা ও পথপ্রদর্শক হিসেবে এলাকাবাসির মাঝে আস্থা অর্জন করেছে। পারিবারিক ভাবে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা এ নেতা দলীয় মনোনীত প্রার্থী হওয়ায় সকল নেতা-কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে মাঠে নেমেছে। অন্য প্রার্থীদের থেকে তুলনামূলক বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়নবাসীকে সেবায় নিয়োজিত ও আওয়ামী রাজনীতিকে আরো বেশি শক্তিশালী করতে পারবে বলে আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।
চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী অহিদুজ্জামান মিন্টুর সাথে একান্ত আলাপ কালে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে মনে-প্রাণে ভালোবেসে খুব ছোটবেলা থেকে দল করে আসছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল খুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত একটি স্বনির্ভর সোনার বাংলা গড়ার।
বঙ্গবন্ধুর এই স্বপ্ন পুরণে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের মানুষদের খুধামুক্ত করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে দাড় করেছেন। তার উন্নয়ন সেবা মানুষের দৌড় গড়ায় পৌঁছে দিতে ও আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
আমাদের অবিভাবক দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন তাই অন্যদের তুলনায় বেশি ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়ে ইউনিয়নবাসীকে সেবায় নিয়োজিত রাখবো। এ ইউনিয়ন থেকে অন্যায়, অত্যাচার, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গী নির্মূল করে সমাজের সাধারণ মানুষের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়নবাসী আমাকে ভালোবেসে যেভাবে বুকে আগলে ধরে রেখেছে, সেজন্য তাদের ভালোবাসার কাছে আমি ঋণী। তাদের এই ঋণ পরিশোধ করতে আমি হয়তো কোনদিন পারব না, তবে আমি কথা দিলাম তাদের সুখে দুঃখে সর্বদা পাশে থাকব। ইউনিয়নের সকল স্তরের জনগনকে সাথে নিয়ে একটি সুন্দর সুশৃংখল মডেল ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তুলবো।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।