ঘড়ির কাঁটার টংটং শব্দে জানান দিচ্ছে এখন রাত বাজে ১টা। উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও শহরে মানুষ সমাগম থাকলেও শীতের দাঁপটে নিস্তব্ধতা। হিম শীতল ঠাণ্ডায় সবার অবস্থা জুবুথুবু। সারাদিনের কাজের ক্লান্তির পর সামান্য শীতের কাপড় মুড়িয়ে কোনোমতে শীত নিবারণের চেষ্টা ছিন্নমূল, অসহায়, দরিদ্র মানুষগুলোর। মানুষ যখন পরিবার পরিজন নিয়ে শীত নিবারণের জন্য শুকনা খড়কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছেন। ঠিক তখনেই কনকনে শীত উপেক্ষা করে দুই শিশু সন্তান ওয়াসিফ, সুহিনা ও সহধর্মিণী জান্নাতুল ফেরদৌসীকে সঙ্গে নিয়ে পায়ে হেঁটে শীতবস্ত্র (কম্বল) নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে শুয়ে থাকা ছিন্নমূল, দরিদ্র ও অসহায় মানুষের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহাবুবুর রহমান।
শনিবার রাত পৌনে ১ টায় বছরের প্রথম দিনে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে শীতার্ত অসহায় ভবঘুরে দরিদ্র মানুষকে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের প্রায় তিনশত কম্বল বিতরণ করেন তিনি। তীব্র শীতে হঠাৎ কম্বল পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন অসহায় মানুষগুলো।
এর আগে জেলা প্রশাসক ও তার পরিবার শহরের কালিবাড়ি এলাকার হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে কম্বল বিতরণ করেন। এছাড়াও শহরের রেল-স্টেশন, রোড এলাকা, সদর হাঁসপাতাল, চৌরাস্তাসহ রাস্তার পাশে শুয়ে থাকা অসহায় শীতার্ত মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার জেলায় অনেক ঠাণ্ডা পড়ে। বছরের প্রথম দিন সন্তান স্ত্রীসহ মানুষকে কম্বল দেওয়ার জন্য বের হয়েছি। বিত্তবান মানুষ গরম কাপড় কিনে শীত নিবারণ করলেও গরিব ও অসহায় মানুষ টাকার অভাবে শীতের গরম কাপড় কিনতে পারছে না। তাই তাদের একটু স্বস্তি দিতে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আর আমার সন্তানদের অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোটা এখন থেকেই শেখানোর চেষ্টা করছি। বছরের প্রথম দিনে অসহায় শীতার্থদের কম্বল বিতরণ করতে পেরে ভালোই লাগছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।